পাওয়েল ঝড়ে বাংলাদেশের সামনে বড় লক্ষ্য
প্রথম ওভারেই ঝড়, এলোমেলো বাংলাদেশ। প্রথম পাঁচ ওভারে পাঁচজন বোলার ব্যবহার করলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। বোলিং পরিবর্তনে কিছুটা উপকারও হলো, দুটি উইকেট এলো। এরপরও রানের চাকা থামানো গেল না। ব্রেন্ডন কিং ও নিকোলাস পুরান গড়লেন বড় জুটি। শেষে গিয়ে রভম্যান পাওয়েলের ব্যাটিং শো। সব মিলিয়ে বড় সংগ্রহ পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রোববার রাতে ডমিনিকায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রাজার মতো ব্যাট চালিয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কিং। আর ব্যাটকে তরবারিতে পরিণত করা পাওয়েল রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন বাংলাদেশের বোলারদের ওপর দিয়ে। স্বাগতিকদের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা পাওয়েল ঝড় বেশি টের পেয়েছেন সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদ।
দাপুটে শুরু করা ক্যারিবীয়রা উদ্বোধনী জুটি থেকে বেশি রান পায়নি। তেড়েফুঁড়ে ব্যাটিং করতে থাকা কাইল মেয়ার্স দলীয় ১৮ রানে বিদায় নেন। শেখ মেহেদি হাসানের বলে আউট হওয়ার আগে ৯ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ১৭ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তাসকিনের করা প্রথম ওভার থেকে ১২ রান তোলেন মেয়ার্স।
মেয়ার্সের বিদায়ের পর উইকেটে যাওয়া শামরাহ ব্রুকস সুবিধা করতে পারেননি। ৩ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। সাকিবের বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর কিংয়ের সঙ্গে যোগ দিয়ে দ্রুতই উইকেট মানিয়ে নেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক পুরান। তৃতীয় উইকেটে ৭৪ রান যোগ করেন কিং-পুরান।
দলীয় ১০০ রানের মাথায় পুরানকে ফেরানে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৩০ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৪ রান করেন পুরান। স্বাগতিকদের অধিনায়ককে ফিরিয়ে যেন নিজেদের বিপদ ডেকে আনে বাংলাদেশ। শুরুর কয়েকটা বল দেখে তাণ্ডব চালান রভম্যান পাওয়েল। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে সাকিব-তাসকিনদের লাইন-লেংন্থ ভুলিয়ে দেন তিনি।
মুহূর্তেই কিংয়ের সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়ে ফেলেন পাওয়েল। দলীয় ১৬৩ রানে আউট হন কিং। এর আগে ৪৩ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন ডানহাতি এই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করা পাওয়েল মাত্র ২৮ বলে ২টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৬১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। ওডেন স্মিথ ৪ বলে ১১ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট পান শেখ মেহেদি, সাকিব ও মোসাদ্দেক। এদিন সবচেয়ে খরুচে বোলিং করেছেন ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা তাসকিন। ডানহাতি এই পেসার ৩ ওভারে ৪৬ রান খরচা করেন। মোসাদ্দেক কেবল এক ওভারে ১ রান দেন। বাকিরা সবাই ছিলেন খরুচে।