সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি, কমেনি কুশিয়ারার পানি
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল পর্যন্ত সিলেট জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
তবে, অধিকাংশ নদ-নদীর পানি কমলেও কুশিয়ারার পানি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে বন্যাদুর্গত মানুষের দুর্ভোগও। বিশেষ করে এই নদীর তীরবর্তী এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে থাকা মানুষের দিন কাটছে চরম উৎকণ্ঠায়।
কানাইঘাট পয়েন্টে রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সোমবার একই সময়ে তা ছিল ৩৪ সেন্টিমিটার ওপরে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ পয়েন্টে পানি কমেছে প্রায় ৮ সেন্টিমিটার।
সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানি রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রবাহিত হয় বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে। সোমবার একই সময়ে তা ছিল ৩৫ সেন্টিমিটারের নিচে। এ পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় পানি কমেছে ৭ সেন্টিমিটার।
কিন্তু কুশিয়ারা নদীর পানি কমছেই না। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমলশিদ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ২৪ ঘণ্টায় এ পয়েন্টে পানি বেড়েছে ১৮ সেন্টিমিটার।
রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত শেওলায় কুশিয়ারার পানি বইছিল বিপদসীমার শূন্য দশমিক ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। আর সোমবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত বইছিল ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। এ সময়ে পানি বেড়েছে প্রায় ১২ সেন্টিমিটার।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, "সিলেটের নদীগুলোর পানি সুনামগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সেখানে পানির উচ্চতা এখনো অনেক বেশি।"
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এএফডব্লিউসি) জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।