নোয়াখালীতে ১৪টি ঘুঘু-মুনিয়া-শালিক-টিয়া উদ্ধার
নোয়াখালীতে অভিযান চালিয়ে বিক্রির জন্য আটকে রাখা অবস্থায় ১৪টি পাখি উদ্ধার করেছে উপকূলীয় বন বিভাগ।
২টি ঘুঘু, ৪টি মুনিয়া, ৫টি শালিক ও ৩টি টিয়া পাখি উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর সহকারি বন সংরক্ষক কাজী তারিকুর রহমান ও সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা এ এস এম মহি উদ্দিন চৌধুরী এ অভিযান পরিচালনা করেন।
সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা এ এস এম মহি উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞার নির্দেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জেলা শহরে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পাখি বিক্রির সময় মো. ছালাম নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে তার হেফাজতে থাকা ১৪টি পাখি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, পাখি বিক্রেতা ছালাম মাদারীপুর সদর উপজেলার গাছবেয়ারী এলাকার বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী ফেনী জেলা থেকে পাখিগুলো কিনে ভ্রাম্যমাণভাবে নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতেন এই বিক্রেতা।
আগামীতে এমন কাজ করবেনা মর্মে তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছালামকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর তফশিল-১ এর অন্তর্ভুক্ত রক্ষিত বন্যপ্রাণী ধরা, শিকার, হত্যা করা, খাওয়া, ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।