সংকটে বাঘ: ক্রমেই কমছে রাজসিক প্রাণীটির সংখ্যা
আজ আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস।
২০০৭ সালের দিকে একটি সমীক্ষায় দেখা যায় বিড়াল গোত্রের এই সর্ববৃহৎ প্রাণীটি বিশ্বজুড়ে (মূলত দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, রাশিয়ার পূর্বাঞ্চল, কাস্পিয়ান সাগরের উত্তর-পূর্বাঞ্চল) তার মহান গরিমা নিয়ে বাস করত—এখন সেই বাসভূমির এলাকা দাঁড়িয়েছে এর ছয় শতাংশে। ইতোমধ্যে বাঘের তিনটি উপপ্রজাতি—কাস্পিয়ান বাঘ, জাভান বাঘ, বালি-র বাঘ—বিলুপ্ত হয়ে গেছে। দক্ষিণ চীনা বাঘ প্রায় বিলুপ্তির পথে। ইন্দো মালয়ী বাঘের অবস্থাও খুব সুবিধার না।
বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকেই শিকারি-প্রকৃতিবিদরা আশঙ্কা করেছিলেন একবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগেই বাঘ নামের এই আশ্চর্যজনক প্রাণীটি লুপ্ত হয়ে যাবে। কত ঐতিহ্য, মিথ, কাহিনি জড়িয়ে আছে এই প্রাণীটিকে ঘিরে। এই প্রাণীটি হারিয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে বিলুপ্ত হয়ে যাবে সেই সমস্ত বনাঞ্চল, যেখানে এ প্রাণীটির পদচারণা ছিল একদিন। কারণ বাঘ অধ্যুষিত অঞ্চলের প্রতিবেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী শৃঙ্খল হচ্ছে এই বাঘ।
প্রকৃতিবিদ-বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন বাঘ অধ্যুষিত বনাঞ্চলগুলি আমাদের শস্যদানার জিনের ভান্ডার। সেই সঙ্গে আমাদের ঔষধপত্রের একটা বড় অংশ আসে এইসব জঙ্গলের প্রাণসম্পদ থেকে।
বাঘ সংরক্ষণের পৃষ্ঠপোষকরা দেখতে পেয়েছেন, এখনো টিকে থাকা বাঘের জঙ্গলগুলি রয়েছে বিশ্বব্যাংকের ভাষায় 'এশিয়ার নরম তলপেটে'। অর্থাৎ এশিয়ার দুর্বলতম স্থানগুলিতে, যেখানে রয়েছে চরম দারিদ্র্য। দেশগুলি দ্রুত উন্নয়নের দিকে ধাবিত হবার পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে বন কেটে বসতি, কৃষিজমি, যোগাযোগের সড়ক তৈরি করা। সেই সঙ্গে পেট্রোলিয়ামের খোঁজ করা। ফলে এ দেশগুলি হয়ে উঠেছে কাঠ রপ্তানিকারক।
বাঘ সংরক্ষণের পৃষ্ঠপোষকরা দেখতে পেয়েছেন, এখনো টিকে থাকা বাঘের জঙ্গলগুলি রয়েছে বিশ্বব্যাংকের ভাষায় 'এশিয়ার নরম তলপেটে'। অর্থাৎ এশিয়ার দুর্বলতম স্থানগুলিতে, যেখানে রয়েছে চরম দারিদ্র্য। দেশগুলি দ্রুত উন্নয়নের দিকে ধাবিত হবার পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে বন কেটে বসতি, কৃষিজমি, যোগাযোগের সড়ক তৈরি করা। সেই সঙ্গে পেট্রোলিয়ামের খোঁজ করা। ফলে এ দেশগুলি হয়ে উঠেছে কাঠ রপ্তানিকারক। রপ্তানিকৃত কাঠের বড় ক্রেতা হচ্ছে প্রভাবশালী উন্নত দেশগুলি, যারা আবার প্রকৃতি সংরক্ষণের কথা প্রচার করে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা লক্ষ করেছেন রপ্তানিকৃত কাঠের বড় ক্রেতা হচ্ছে প্রভাবশালী উন্নত দেশগুলি, যারা আবার প্রকৃতি সংরক্ষণের কথা প্রচার করে থাকে। এই দ্বিচারিতায় প্রকৃতিবিদরা শঙ্কিত হয়ে ওঠেন। চোখের সামনে দেখতে পান বনভূমির মানচিত্র কী দ্রুততায় আশঙ্কাজনকভাবে কমছে। বনভূমি হয়ে পড়ছে সয়াবিন, ধান, পাম অয়েলের খেত-খামার। নিসর্গ বদলে যাচ্ছে বহু বৈচিত্র্যের বনভূমি থেকে একক গাছপালার খামারে। রাবার আর তেলবীজের একক চাষ পুরো এলাকার প্রতিবেশচক্র ভেঙেচুরে নষ্ট করে দিয়েছে। উজাড় হয়ে যাওয়া ফাঁকা বনে লাগানো হচ্ছে দ্রুত বর্ধনশীল আকাশমনি, ইউক্যালিপটাস-জাতীয় গাছ যার থেকে পাখি, বন্য জন্তুরা কোনো খাবার পাচ্ছে না। নাইট্রোজেন সার, কীটনাশক প্রয়োগে জমির উর্বরতা শুধু কমছেই না, ওই সমস্ত এলাকার জলাভূমিগুলি হয়ে উঠছে বিষাক্ত। ক্রমবর্ধনশীল দারিদ্র্যের পাশাপাশি এসব এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে জনসংখ্যা।
বাড়তি জনসংখ্যার গবাদিপশুর জন্য চাই নূতন চারণভূমি। ফলে সংরক্ষিত এলাকাগুলি হয়ে উঠছে নতুন চারণভূমির ঠিকানা। বাড়ছে মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীর সংঘাত। বাড়ছে বন্য মাংস বা 'বুশ মিটে'র চাহিদা, ভয়াবহ আকারে বাড়ছে বন্যপ্রাণীর হাড়, চামড়ার ব্যবসা। কোনো কোনো এলাকায় সন্ত্রাসীদের অস্ত্র কেনার অন্যতম উৎস হয়ে পড়েছে বন্যপ্রাণের ব্যবসা।
এই পরিস্থিতিতে ১৯৭০ সাল থেকেই বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিল, ক্যাট স্পেশালিস্ট গ্রুপ, আইইউসিএন-এর জীববিজ্ঞানী, নীতিনির্ধারকরা দ্রুত কিছু করার জন্য বাঘ অধ্যুষিত দেশগুলোতে আবেদন করতে থাকেন। বিশেষ করে বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিলের ট্রাস্টি গাই মাউন্টফোর্ট তার 'সেভ দি টাইগার' মিশনে বাঘ অধ্যুষিত দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের কাছে ধরনা দিতে থাকেন।
মাউন্টফোর্ট অবশ্য শুরু করেছিলেন ১৯৬২ সাল থেকেই। তারই প্রচেষ্টায় ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশে বন্যপ্রাণীর প্রথম শনাক্তকরণ সমীক্ষা চালানো হয়। তারই উৎসাহে ক্যাট স্পেশালিস্ট গ্রুপের জার্মান বিজ্ঞানী হিউবার্ট হেনরিশ সুন্দরবনের বাঘের মানুষ খাওয়ার প্রবণতার উপর গবেষণা করেন।
সৌভাগ্যের বিষয়, বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিলের আবেদনে ১৯৭৩ সালের ১ এপ্রিল ভারত বাঘ সংরক্ষণের জন্য উত্তরাখন্ডের জিম করবেট জাতীয় উদ্যান বাঘ প্রকল্পের ঘোষণা দেয়। তখনকার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক উৎসাহে অত্যন্ত শক্তিশালী সংস্থা জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠান—এনটিসিএকে সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। তখন মাত্র নয়টি অরণ্যাঞ্চল বাঘ প্রকল্পের আওতায় ছিল। বর্তমানে ভারতের ৭২ হাজার ৭৪৯ বর্গকিলোমিটার এলাকা বাঘ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। সংরক্ষিত এলাকার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০টি।
ভারতের এই বিশাল যজ্ঞ ছিল বিশ্বে প্রথম কোনো প্রাণীকে ঘিরে অরণ্য ও তার প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণের সবচেয়ে বড় প্রয়াস। ভারতের এই অনন্যসাধারণ উদ্যোগ বাংলাদেশসহ বিশ্বের তেরোটি বাঘ অধ্যুষিত দেশকে বাঘ প্রকল্প প্রণয়নে উদ্বুদ্ধ করে।
প্রশ্ন উঠতে পারে শুধুমাত্র বাঘকে ঘিরে এত কিছু কেন? বাঘ ভারত, বাংলাদেশের জাতীয় পশু বলেই কি?
আসলে বাঘ একটি প্রতীক মাত্র। বাঘ বাঁচাতে হলে জঙ্গল বাঁচাতে হবে। সেই সঙ্গে ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে বাঘের শিকারসহ শিকারিপশু ও অন্যান্য প্রাণবৈচিত্র্যকে। পাখি, সরীসৃপ, মাছ, কীটপতঙ্গ থেকে শুরু করে প্রতিটি গাছ, লতাপাতা, জলাধার, বিলঝিল—এর সবকিছুর প্রাকৃতিক স্বাভাবিক উন্নয়ন এই প্রকল্পের বিবেচনায় আনা হয়।
যে এলাকাগুলিকে প্রকল্পের আওতায় আনা হয় সেগুলি একসময় সংরক্ষিত বনাঞ্চল ছিল। কিন্তু কর্মযজ্ঞটি সহজ ছিল না। ভারতের বিপুল বিচিত্র আদিবাসীরা এসব জঙ্গলনির্ভর জাতিগোষ্ঠী ছিল। তাদের সরিয়ে পুনর্বাসন করা ছিল বিরাট চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে যে বনবিভাগকে তৈরি করা হয়েছিল বনের কাঠ আহরণ করতে, তাদেরকে সংরক্ষণের মানসিকতায় আনতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে।
একই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে অন্যান্য দেশগুলিকেও।
প্রকৃতিবিদ-বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন বাঘ অধ্যুষিত বনাঞ্চলগুলি আমাদের শস্যদানার জিনের ভান্ডার। সেই সঙ্গে আমাদের ঔষধপত্রের একটা বড় অংশ আসে এইসব জঙ্গলের প্রাণসম্পদ থেকে।
বাঘ প্রকল্পের 'সোনালি সময়' খুব বেশিদিন রইল না। ভারতীয় প্রকল্পগুলিতে ১৯৭৪ সালের গণনায় ১,৮০০ বাঘ ছিল। পরবর্তী বিশ বছরে বাঘের সংখ্যা বেড়ে ৩,৪০০ বলে সরকারি কাগজপত্র দেখানো হয়েছিল। তা অবশ্য পায়ের ছাপ গণনার ভিত্তিতে। কিন্তু ক্যামেরা ট্র্যাপ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর দেখা গেল পায়ের ছাপ ট্রেস করে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ ত্রুটিপূর্ণ ছিল। একই বাঘের পায়ের ছাপ মাটির অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্ন হয়। তাতে যারা পায়ের ছাপের প্লাস্টিক কাস্ট করেন বা ট্রেসিং করেন, তারা স্বভাবতই বিভ্রান্ত হন। ক্যামেরা ট্র্যাপে বাঘের দেহের কালো ডোরা বিশ্লেষণ করে পরিচয় নির্ধারণ করা হয়। দুটি মানুষের হাতের আঙুলের ছাপ যেমন একই হয় না, দুটি বাঘের চামড়ার কালো ডোরাও একই রকম হয় না।
ক্যামেরা পদ্ধতি চালু হবার পর দেখা গেল বাঘের সংখ্যা গণনায় কম হচ্ছে।
১৯৭০-এর দশকের পেট্রোডলার ও ১৯৯০-এ ইয়েনের উল্লম্ফনের প্রভাব বন্যপ্রাণ চোরাচালানকে আশঙ্কাজনকভাবে উৎসাহিত করতে থাকে। বাঘ, গন্ডার, হাতি—এদের দেহের অংশ বেচাকেনা মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়।
প্রাকৃতিক বাঘের উপর হামলে পড়ে চীনা ব্যবসায়ীরা। বাঘের মাংসের তরকারি, স্যুপ, ওয়াইনের জন্য কাঁচামাল সরবরাহে বাঘ অধ্যুষিত দেশগুলোর সংরক্ষিত এলাকাগুলি বাঘশূন্য হতে থাকে। স্পিসিজ সারভাইভাল কমিশন, আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী ব্যবসা বন্ধের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান সাইটেস অনেক সাধ্যসাধনাতেও এই চোরাচালান বন্ধ করতে পারেনি।
আমরা জানি পৃথিবীতে প্রাকৃতিক বাঘ রয়েছে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজারের মতো। আর ব্যক্তি সংগ্রহ, নানা খামারে বাঘ রয়েছে সাত হাজারের মতো। এদের মধ্যে আমেরিকাতেই আছে পাঁচ হাজারের বেশি খামারের বাঘ।
১৯৮৬ সালে চীনের হেংদাওয়ে বাঘের দেহাংশের সরবরাহ চালু রাখতে ২০টি খামার তৈরি করা হয়। কিন্তু চীনের তথাকথিত যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির উদ্যোক্তারা ঝুঁকে পড়ে প্রাকৃতিক বাঘের সরবরাহের ওপর। কারণ প্রাকৃতিক বাঘের দেহাংশের দ্বারা উৎপন্ন পণ্য নাকি বেশি কার্যকর!
প্রশ্ন উঠতে পারে শুধুমাত্র বাঘকে ঘিরে এত কিছু কেন? বাঘ ভারত, বাংলাদেশের জাতীয় পশু বলেই কি? আসলে বাঘ একটি প্রতীক মাত্র। বাঘ বাঁচাতে হলে জঙ্গল বাঁচাতে হবে। সেই সঙ্গে ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে বাঘের শিকারসহ শিকারিপশু ও অন্যান্য প্রাণবৈচিত্র্যকে।
চীন আগেই তাদের দক্ষিণ চীনা বাঘের প্রাকৃতিক উৎস নষ্ট করে ফেলেছিল। এবার তারা হাত দেয় রাশিয়া, ভারতের রিজার্ভগুলিতে। ২০০৪ সালে ভারতীয় বাঘ প্রকল্পের কর্তাব্যক্তিরা আবিষ্কার করেন তাদের বিখ্যাত বাঘ সংরক্ষণ এলাকা রাজস্থানের সারিস্কা, মধ্যপ্রদেশের পান্না, পশ্চিমবঙ্গের বাক্সায় কোনো বাঘ আর বেঁচে নেই। অন্যান্য রিজার্ভগুলিতেও বাঘের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। খোঁজখবর করে দেখা গেল শুধু ভারত, রাশিয়ায় না, প্রাকৃতিক বাঘের উৎস ১৩টি দেশের বাঘের জঙ্গলেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বিষয়টি সারা বিশ্বের সংরক্ষণবাদীদের হতাশ করে তোলে। তাদের ধারণায় ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর প্রাকৃতিক বাঘ আর থাকবে না।
এরকম একটা হতাশ সময়ে এগিয়ে আসে বিশ্বব্যাংক, গ্লোবাল টাইগার ফোরাম, স্পিসিজ সারভাইভাল কমিশন, স্মিথসনিয়ান ইনস্টিটিউট, প্যান্থেরা গ্রুপসহ নানা প্রতিষ্ঠান যুক্তভাবে বাঘ বাঁচানোর প্রচারণায় নামে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রবার্ট জেল্লিকের আয়োজনে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে বাংলাদেশ, ভারত, রাশিয়া, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, লাও প্রজাতন্ত্র, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার প্রতিনিধিরা টাইগার সামিটে একত্রিত হয়ে 'গ্লোবাল টাইগার রিকভারি প্রোগ্রামে'-এ ঐকমত্য হন যে ২০২২ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য ধরা হয়
(ক) একটি বৈশ্বিক পদ্ধতি ঠিক করা, যার মাধ্যমে বাঘের ঐতিহাসিক অধ্যুষিত জঙ্গলে বাঘের উপস্থিতি জোরদার করা ও ওই এলাকাগুলি উন্নত করা হবে।
(খ) বাঘের পক্ষে জনমত তৈরি করা, গণমাধ্যমের দৃষ্টি এদিকে ফেরানো।
এ বছরের ২৯ জুলাই সেই স্বপ্ন পূরণের যুগপূর্তির সময়। এ বছরটাকে ঘোষণা করা হয়েছে বাঘের বছর হিসেবে।
বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রতীক T-2X এখনও বাস্তবায়ন হতে অনেক দেরি। আমরা শুধু আশায় বুক বাঁধতে পারি।