২ মাস পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এল ১ হাজার টন গম
দুই মাস বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও ভারত থেকে গম আমদানি শুরু হয়েছে। সোমবার (১ আগস্ট) বিকেলে এক হাজার টন গম এসে পৌঁছেছে স্থলবন্দরে।
এর মাধ্যমে আবারও সচল হলো বন্দরের পণ্য আমদানি বাণিজ্য। আগামীকাল মঙ্গলবার গমগুলো খালাসের কাজ শুরু করবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গত বছরের আগস্টে প্রথমবারের মতো গম আমদানি শুরু হয় ভারত থেকে। এতে করে পূর্ণতা পায় দুইদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।
তবে গম রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ৩০ মে'র পর গমের আর কোনো চালান আসেনি আখাউড়া স্থলবন্দরে। আটকা পড়ে নিষেধাজ্ঞার পূর্বে খোলা এলসি'র ১৪ হাজার টনেরও বেশি গম।
গেল জুন মাসে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ভারী বর্ষণ ও বন্যার কারণে ত্রিপুরার সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গমের গাড়িগুলো আগরতলা বন্দরে আসতে পারেনি।
তবে সড়ক ও রেল যোগাযোগ সচল হওয়ায় সোমবার বিকেলে ৪০টিরও বেশি ট্রাকে করে আসে এক হাজার টন গম। গমগুলোর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইলের শারদা ট্রেডার্স। আর কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করেছে স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
শারদা ট্রেডার্সের প্রতিনিধি তারাপদ দাস জানান, ২৫০০ টন গম আমদানির জন্য তাদের প্রতিষ্ঠান গত ১২ মে'র আগে এলসি খুলেছিল। প্রথম চালানে এক হাজার টন গম এসেছে। বাকিগুলো মঙ্গলবারের মধ্যেই চলে আসবে বলে জানান তিনি।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী আক্তার হোসেন জানান, ত্রিপুরার সাথে অন্য রাজ্যগুলোর সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হওয়ায় আবারও গম আমদানি শুরু হয়েছে। প্রতি টন গম আমদানি হয়েছে ৩৫৫ মার্কিন ডলারে। যেহেতু টাকার বিপরীতে ডলার মান বেড়ে গেছে, তাই গমের দাম বাজারে খুব একটা কমবে না।
শুল্কমুক্ত হওয়ায় গম আমদানিতে স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ কোনো শুল্ক পায়নি। তবে আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম জানান, প্রতিটি গমের ট্রাক থেকে বন্দরে প্রবেশ ফি ও অবস্থান ফিসহ অন্যান্য মাশুল আদায় করবে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।