জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: পেট্রোবাংলার সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন একদল শিক্ষার্থী।
বুধবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলা ভবনের সামনে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্যানার নিয়ে অবস্থান নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে লেখা এক চিঠিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদুল ইসলাম আপন জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়, 'গত বছর নভেম্বরে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পর থেকে একে একে পরিবহনসমূহের ভাড়াবৃদ্ধিসহ সমস্ত খাতের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়, এর পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। সবকিছুর মাত্রাতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার নেপথ্যে মুখ্য ভূমিকা হিসেবে পালন করেছে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি। এই অবস্থায় পুনরায় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি বর্তমানে মড়ার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা আপামর মধ্যবিত্ত সাধারণ জনগণের কাছে পাহাড়সম বোঝার মতো।'
শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেন যে, বিগত বছরগুলোতে বিপিসি পর্যাপ্ত মুনাফা অর্জন করেছিল, আর তাই এখন জ্বালানির দাম বৃদ্ধি কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়।
প্রতিবেদনটি লেখা অবধি বিপিসি চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি হস্তান্তরের জন্য বিক্ষোভকারীরা পেট্রোবাংলা ভবনে প্রবেশ করে।
এর আগে গত শুক্রবার সরকার জ্বালানি তেলের দাম ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ায়, যা ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে নিত্যপণ্যের আকাশচুম্বী দামে ইতোমধ্যে জর্জরিত সাধারণ মানুষ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে আবারও নাকাল।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ শুক্রবার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা এবং অকটেন ও পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করে।