চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটিতে আত্মঘাতী গ্রেনেড হামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০১৫ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঈসা খান ঘাঁটির একটি মসজিদে গ্রেনেড হামলার দায়ে জামায়াত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।
দণ্ডিতরা হলেন- নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান, রমজান আলী ও বাবুল রহমান রনি এবং আবদুল গাফফার।
বুধবার চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম এ রায় ঘোষণা করেন।
একই রায়ে আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ারও আদেশ দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনোরঞ্জন দাশ বলেন, "একই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া পৃথক অভিযোগের বিচার অন্য আদালতে চলছে।"
২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পরে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে সুরক্ষিত এলাকায় দুটি মসজিদে ১০ মিনিটের ব্যবধানে বোমা (গ্রেনেড) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মসজিদগুলোতে শুক্রবার বেসামরিক লোকজনও নামাজ পড়তেন।
এ বিস্ফোরণে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে মোট ২৪ জন আহত হন।
ঘটনার পরপরই ঈশা খাঁ ঘাঁটির সব গেট বন্ধ করে তল্লাশি চালানো হয়। একটি ব্যারাকের নিচতলার শৌচাগারে পরিত্যক্ত অবস্থায় অবিস্ফোরিত বোমা এবং একটি সুইসাইড ভেস্ট পাওয়া যায়।
ঘটনার প্রায় নয় মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নৌ প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ থানায় মামলা করেন। পুলিশ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ৫ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি এ হামলার জন্য দায়ী। চট্টগ্রামে জেএমবির আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রাইসুল ইসলাম খানের নির্দেশে বোমা হামলা চালানো হয়।