দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে রপ্তানি হবে ২,৪৫০ টন ইলিশ
দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবার ভারতে ২,৪৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশের ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকে ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ধারিত পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি সম্পন্ন করতে হবে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে সোমবার আদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠান ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে, শুধু তারাই রপ্তানি করতে পারবে। রপ্তানির অনুমতিপত্র কোনোমতেই হস্তান্তর করা যাবে না বা ইলিশ রপ্তানির ক্ষেত্রে সাব-কন্ট্রাক্ট করা যাবে না।
রপ্তানি নীতি আদেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ। তবে প্রতিবছর দূর্গাপূজার আগে দেশের বিপুল সংখ্যক রপ্তানিকারক ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। সাত বছর ইলিশ রপ্তানি বন্ধ রাখার পর ২০১৯ সাল থেকে দূর্গাপূজার আগে শর্তসাপেক্ষে ভারতে নির্ধারিত পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুই দফায় ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে ভারতে মোট ৪,৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু রপ্তানি হয়েছিল ১৪০০ টন। মূলত ওই সময় ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় রপ্তানিকারকরা পর্যাপ্ত ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। তার আগের বছর ভারতে ১,৮৫০ টন ইলিশ হয়।
দূর্গাপূজার সময় ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশি ইলিশের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এটি বিবেচনায় নিয়ে সাধারণত প্রতিবছরই এ সময় বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিতো বাংলাদেশ। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির বিরোধিতা করার পর ২০১২ সাল থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় সরকার।
২০১৫ সালে মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশ সফরে এসে ভারতে ইলিশ রপ্তানির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করলে পাল্টা জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, 'পানি আসলে ইলিশও যাবে'। পরে ২০১৯ সালে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় সরকার।