‘কোহলির চেয়েও ভালো পারে আমাদের আফিফ’
অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকেই তাকে নিয়ে আলোচনা। বিপিএল দিয়ে সবার নজরে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। এরপর অপার সম্ভাবনার মশাল হাতে জাতীয় দলে পা রাখেন তরুণ এই ক্রিকেটার। শুরুতে নিজেকে সেভাবে প্রমাণ করতে না পারলেও গত এক বছরে টি-টোয়েন্টি দলের অন্যতম সদস্য হয়ে উঠছেন তিনি। তার মাঝে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যত দেখেন অনেকেই। শুধু তাই নয়, ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির চেয়েও আফিফ ভালো হতে পারেন বলে মনে করেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
এশিয়া কাপের আগেও আফিফকে প্রশংসায় ভাসান জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকা সুজন। তার মাঝে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যত দেখতে পান বলে তাকে ভালোভাবে তৈরি করার কথা জানান বিসিবির এই পরিচালক। এমনকি ব্যাটিংয়ে চার নম্বর জায়গাটি আফিফকে দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন সুজন। এবার তিনি আফিফকে আরেক ধাপ উপরে তুলে কোহলির চেয়েও ভালো বললেন।
এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ হেরে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। তবে এক ম্যাচে আফিফ ব্যাট হাতে ছিলেন কাণ্ডারীর ভূমিকায়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২ রান করলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ২২ বলে ৩৯ রান করে দলের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন তিনি। এসব কারণেই আফিফকে নিয়ে সুজনের আকাশ ছোঁয়া প্রত্যাশা। এ ছাড়া অন্য অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের বোলারদের ভালো মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং নিয়ে সব সময়ই চিন্তায় বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্য নেই, এটা মানতে নারাজ সুজন। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির কারণে অন্য দলের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে করেন তিনি, 'রোহিত শর্মা যে শট খেলে, বাংলাদেশের একটা ছেলে সেই শট পারে না; সেটা আমি বিশ্বাসই করি না। কোনো সময় বিশ্বাস করি না। যেটা বিরাট (কোহলি) পারে, আফিফ পারবে না; এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমাদের আফিফ হয়তো ওর চেয়ে ভালো পারে।'
'আমাদের ওই যে সাহসটা; নিজেদের এক জায়গায় আটকে রাখি বারবার। আমি ওই দেয়ালটা তুলে দিতে চাই। আমি চাই ওরা স্বাধীনতা নিয়ে খেলুক। বোলাররাও যে বাস্তবায়ন করতে পারবে না অন্য দেশের বোলারদের মতো, আমি এটা একদমই বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি আমাদের বোলাররা হয়তো অন্য অনেক দেশের চেয়ে ভালো। কিন্তু ওই যে সাহসিকতার জায়গাটা, একটা জায়গায় বারবার মার খেয়ে যাচ্ছি।' যোগ করেন সুজন।
টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরও অবশ্য সাফল্য খুঁজে পান সুজন। তার ভাষায়, 'আমি কিছুটা হলেও সাকসেস দেখেছি। হয়তো আমরা হেরে গেছি, অনেকে বলতে পারে সাকসেসটা কোত্থেকে এলো। আমি মনে করি ড্রেসিং রুম থেকেই এসেছে। আস্তে আস্তে ছোট পরিবর্তনগুলো হচ্ছে ছেলেদের মানসিকতায়। এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া, স্বল্প নয়। আমাদের প্রক্রিয়া যদি ঠিক থাকে, আমরা যদি ধৈর্য ধরতে পারি, আমি মনে করি এই ফরম্যাটেও বাংলাদেশ শক্তিশালী দল হতে পারে।'