নেত্রকোনায় সিপিবির প্রতিবাদ সমাবেশে হামলা, আহত ৩০
জ্বালানি তেল, সার ও দ্রব্যমূলসহ যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ নেত্রকোনার কলমাকান্দায় কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ডাকা সমাবেশে হামলা হয়েছে।
হামলায় সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ও সদস্য ডা. দিবালোক সিংহসহ (কমরেড মণি সিংহের ছেলে) অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. দিবালোক সিংহ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং স্থানীয় থানা পুলিশ দুই দফায় এ হামলা চালিয়েছে। এতে সিপিবির পূর্ব নির্ধারিত ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশটি পণ্ড হয়ে গেছে।
ডা. দিবালোক সিংহ জানান, জ্বালানি তেল, সার ও দ্রব্যমূলসহ যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কলমাকান্দা উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সিপিবির উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
কমরেড সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. দিবালোক সিংহ, জেলা কমিটির সভাপতি নলিনী কান্ত সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মোশতাক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শুরুর কিছুক্ষণ পর প্রথমে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, ওলামা লীগ ও শ্রমিক লীগের কর্মীরা এসে হামলা চালায়। এ সময় তারা মাইক ও চেয়ার ভাংচুরসহ নেতাকর্মীদের মারধর করে সমাবেশ পণ্ড করে দেয়। এরপর আবার পুলিশ এসে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও লাঠিচার্জ করে।
দিবালোক সিংহ বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম। যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, ওলামা লীগ ও শ্রমিক লীগের ক্যাডারদের পাশাপাশি থানা পুলিশও নির্বিচারে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা এবং লাঠিচার্জ করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।'
এদিকে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ খান সিপিবির সমাবেশে হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, 'সিপিবি কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করছিল। সমাবেশ চলাকালে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে উপস্থিত হয়ে লাঠিচার্জ করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।'
হামলায় সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. দিবালোক সিংহ, সিপিবি কর্মী দ্বীন ইসলাম, আজিজুল ইসলাম সায়েম, মীর মামুন, শরিয়ত উল্লাহ, হাবিবউল্লাহ পাঠান, শংকর সরকার, নজরুল ইসলাম, বিল্লাহ হোসেন, রহম আলী, জয়কুমার দে, কামরুল ইসলাম, আল আমিন খান, রমজান আলী সরকার, জোবায়ের হোসেন, শাহজাহান, গোলাম মোস্তফা হিরা, আবুল হোসেন, তানভীর, তন্ময় দেবনাথ, আনোয়ার, হৃদয় শেখ, পিন্জয় সরকার খোরশেদ আলম, তাহমিনা আক্তার স্মিতা, দিপক সরকার, ইব্রাহিম, নুরুল হক, সোহাগ আলমসহ অন্তত ৩০জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে দ্বীন ইসলাম ও আজিজুল ইসলাম সায়েমকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।