ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা অ্যারন ফিঞ্চের
খারাপ সময় পিছুই ছাড়ছে না, দীর্ঘদিন ধরে অ্যারন ফিঞ্চের ব্যাটে রান নেই। চোটও ভোগাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ককে। সময়টা যে বিদায় বলার, সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে তাই দেরি করলেন না তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ডানহাতি এই ওপেনার।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলে ওয়ানডে থেকে অবসর নেবেন ফিঞ্চ। বোরবার কেয়ার্নসে শেষ ওয়ানডে খেলতে নামবেন তিনি। দীর্ঘদিন ওয়ানডের অধিনায়কত্ব করা ফিঞ্চ টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যাবেন। নেতৃত্বভারও থাকছে তার ওপর।
বিদায়ের ঘোষণায় ফিঞ্চ বলেছেন, 'অবিশ্বাস্য কিছু স্মৃতিসহ এটা ছিল দুর্দান্ত একটা যাত্রা। আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে কয়েকটি অসাধারণ ওয়ানডে দলের অংশ হতে পেরেছি। সে সব দলে যাদের সঙ্গে খেলেছি, পর্দার পেছনে যাদের পেয়েছি, তাদের পেয়ে আমি ধন্য।'
'এখন সময় এসেছে, আগামী (ওয়ানডে) বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ও জয়ের জন্য নতুন অধিনায়ককে সম্ভাব্য সেরা সুযোগ দেওয়ার। এই পর্যায়ে আসতে যারা আমাকে সাহায্য করেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।' যোগ করেন অজি এই ক্রিকেটার।
ওয়ানডেতে সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না ফিঞ্চের। চলতি বছর মাত্র ১৩ গড়ে ১৬৯ রান করেছেন তিনি। সর্বশেষ ১২ ইনিংসের পাঁচটিতেই শূন্য রানে আউট হন তিনি। শেষ ৭ ইনিংসে ফিঞ্চের রান মাত্র ২৬। বাজে ফর্মই তাকে অবসর নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ খেলে বিদায়ের কথা ভাবলেও সেটা করলেন না তিনি।
ফিঞ্চের মতে, কেবল নিজেকে নিয়ে ভাবার মতো মানুষ নন তিনি। তার ভাষায়, 'আমি হয়তো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরের সিরিজে খেলার চেষ্টা করতে পারতাম। সেক্ষেত্রে হয়তো এমসিজিতে রূপকথার মতো একটা সমাপ্তি হতো। কিন্তু কেবল নিজের কথা ভাবা কখনও আমার ধরন নয়। যেই নেতৃত্ব দিক, যেই ওপেন করুক, তাকে দলকে এগিয়ে নিতে এবং ২০২৩ বিশ্বকাপ জিততে সেরা সুযোগ দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিশ্চিত, শরীর ও কিছুটা ছন্দের জন্য সেই পর্যন্ত টিকে থাকতে পারব না।'
২০১৩ সালে মেলবোর্নে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় ফিঞ্চের। অজিদের হয়ে ১৪৫টি ওয়ানডেতে ১৭টি সেঞ্চুরি ও ৩০টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৯.১৩ গড়ে ৫ হাজার ৪০১ রান করেছেন তিনি। ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে ৫৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন ফিঞ্চ। এর মধ্যে অজিরা জিতেছে ৩০ ম্যাচে।