কর্মস্থলে যাওয়ার সময় রাস্তায় গার্মেন্টসকর্মীর মৃত্যু
চট্টগ্রামে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় রাস্তায় সেলিম উদ্দিন (৪৫) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার সকালে নগরের টাইগারপাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সেলিম উদ্দিন মারা গেছেন বলে পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে।
সেলিম উদ্দিন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা এলাকার মির্জাখীল গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় জিরাত শার্ট লিমিটেডের সহকারী ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
সেলিম উদ্দিনের ভাতিজা রায়হান উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে গার্মেন্টস চালু থাকায় আমার চাচা চিন্তিত ছিলেন। এর মধ্যে রোববারও তিনি অফিস করেন। সোমবার গার্মেন্টস খোলা থাকায় তিনি কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে টাইগারপাসে গাড়ির জন্য দাঁড়ানো অবস্থায় মাথা ঘুরে পড়ে যান এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। ডাক্তাররা জানিয়েছেন আমার চাচা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
সেলিম উদ্দিন তিন সন্তানের জনক। তার ছয় মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার বড় ছেলে অষ্টম শ্রেণি ও আরেক মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে।
খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, সেলিম উদ্দিন সকালে অফিসে যেতে গাড়ির জন্য টাইগারপাস এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ করে অসুস্থতাবোধ করে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ উদ্ধার করা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা থানায় আসেন। স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ নিয়ে যেতে চায়। তাই আমরা ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ হস্তান্তর করেছি।
জিরাত শার্ট লিমিটেডের মানব সম্পদ বিভাগের ম্যানেজার মো. রিগান উদ্দিন বলেন, বেতন দেওয়ার জন্য আমরা আজকে প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছিল। তবে আমাদের উৎপাদন বন্ধ ছিল। এর মধ্যে অফিসে আসার সময় সেলিম উদ্দিন মারা গেছেন।
শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় সচল কারখানা আছে ১ হাজার ২২৯টি। এর মধ্যে সাধারণ ছুটিতেও কারখানা চালু আছে ৩৭৭টি। এসব কারখানায় কমপক্ষে দেড় লাখ শ্রমিক কাজ করছে।
শিল্প পুলিশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. নাজিমুল হক বলেন, চট্টগ্রাম ইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড, বায়েজিদ শিল্প এলাকায়সহ বিভিন্ন স্থানে রোববার ৩৭৭টি কারখানা চালু ছিল। এসব কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করছেন।