ফিজিবিলিটি স্টাডির বদলে টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ ইভিএম প্রকল্প প্রস্তাবে
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রকল্প প্রস্তাবের ফিজিবিলিটি স্টাডির বদলে টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী রোববার সুপারিশ সহকারে প্রকল্প প্রস্তাবটি ফের পরিকল্পনা কমিশনে পাঠাবে ইসি।
নিয়ম অনুযায়ী, পঞ্চাশ কোটি টাকার উপরে কোনো প্রকল্প হলে তা অবশ্যই ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে হবে।
গত ১৯ অক্টোবর প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় ইসি।
পরিকল্পনা কমিশন তাদের পর্যবেক্ষণে ব্যয় কমানোসহ ফিজিবিলিটি স্টাডির কথা বলে সেটি ইসিতে ফেরত পাঠায়।
তবে নির্বাচন কমিশন যেহেতু আগে থেকেই ইভিএম ব্যবহার করছে, তাই একই যন্ত্রের ওপর ফিজিবিলিটি স্টাডির প্রয়োজন নেই বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। তার বদলে টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ নিয়েই প্রস্তাবটি ফের পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা এসে সুপারিশসূচক স্বাক্ষরও করে গেছেন প্রকল্প প্রস্তাবে।
ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল রাকিবুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, "পরিকল্পনা কমিশন বেতন- ভাতা, পরিবহন ব্যয়, মেইটেইনেন্স সার্ভিস কতখানি যথার্থ সেগুলো দেখতে বলেছে। প্রকল্প ব্যয় সেটা কিছু কমতে পারে। তবে তা খুব একটা বেশি না।"
তিনি যোগ করেন, "ফিজিবিলিটি স্টাডি তো আর রিপ্লেস করা যায় না। যেহেতু প্রকল্পের সামনে সময় কম আছে তাই বর্তমান ইভিএমকেই আমরা রেপ্লিকেট করছি। সে জন্য টেকনিক্যাল কমিটির মতামত জরুরী ছিল।"
প্ল্যানিং কমিশন তাদের কিছু অবজারভেশনের জায়গা দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, "এরমধ্যে অন্যতম ছিল আমরা যে টেকনিক্যাল স্পেসিফেকশন দিয়েছি সেটা টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টটা সাপোর্টড কি-না। সেই কাজটাই আজকে করলাম। এখন গ্রিনবুকে এন্ট্রি হয়েছে। অর্থাৎ প্রকল্পটি এডিবিভুক্ত হয়ে গেছে। এখন অর্থমন্ত্রণালয়ে যাবে। তারা আবার যাচাই-বাছাই করে দেখবে।"