শিরোপার লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে বড় লক্ষ্য দিতে পারলো না পাকিস্তান
ধীর-স্থির শুরুর পর দুবার রান তোলার গতি বাড়লো পাকিস্তানের। কিন্তু একবারও তা স্থায়ী হলো ইংল্যান্ডের দারুণ বোলিংয়ের সামনে। স্যাম কারান, আদিল রশিদদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে অধিনায়ক বাবর আজমের পর লড়াই করলেন কেবল শান মাসুদ, কিছুটা অবদান রাখেন শাদাব খান। কিন্তু তাতে সংগ্রহ বড় হলো না। রোববার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান তুলেছে পাকিস্তান।
সাবধানী শুরু করে পাকিস্তান, দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম দ্রুততার সঙ্গে রান তুলতে পারেননি। তাই সাবধানী শুরু করেও বিশেষ উপকার হয়নি দলটির। পঞ্চম ওভারে আঘাত হানেন ইংলিশ পেসার স্যাম কারান। ১৪ বলে একটি ছক্কায় ১৫ রান করা রিজওয়ানকে ফিরিয়ে দেন ইংলিশ তরুণ এই পেসার।
২৯ রানে প্রথম উইকেট হারানো পাকিস্তানের বিপদ বাড়ে অষ্টম ওভারে। ধীর মেজাজে ব্যাট চালাতে থাকা মোহাম্মদ হারিসকে ফিরিয়ে দেন ইংলিশ লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। ২১ বছর বয়সী পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যান ১২ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। দলীয় ৪৫ রান থেকে দলের হাল ধরেন বাবর ও শান মাসুদ।
এই জুটি থেকে ২৪ বলে ৩৯ রান পায় পাকিস্তান, এ সময়ে বাড়ে রান তোলার গতিও। চাপ কাটিয়ে পাকিস্তানের পথচলা যখন ছন্দময়, তখনই স্পিন ছোবল হানেন আদিল। এবার তার শিকার পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর। ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকা তারকা এই ব্যাটসম্যান ২৮ বলে ২টি চারে ৩২ রান করে আউট হন।
বাবরের বিদায়ে বিপাকেই পড়তে হয় পাকিস্তানকে। পরের ওভারেই ইফতিখার আহমেদকে হারায় তারা। ৬ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া পাকিস্তানের রান তোলার গতি কমে যায়। শান মাসুদ এক পাশ আগলে রানচাকা সচল রাখলেও উইকেটে থিতু হতে সময় লেগে যায় শাদাব খানের।
১১ ওভারে ৮৪ রান তোলা পাকিস্তান ১০০ রান পূর্ণ করে ১৪.৩ ওভারে। শতরান পেরিয়ে শানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে শাদাবও দ্রুত ব্যাট চালাতে শুরু করেন। এই জুটিতে ছন্দেই এগোচ্ছিল বাবরের দল। কিন্তু সেই ছন্দে লাগাম টানেন স্যাম কারান, ফিরিয়ে দেন শান মাসুদকে। তার বিদায়ে ভাঙে ৩৬ রানের জুটি। ফেরার আগে ২৮ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংস সেরা ৩৮ রান করেন তিনি।
পরের ওভারে শাদাব খানও ফিরলে পাকিস্তানের রান তোলার গতি আবারও কমে যায়। কিছুটা সময় দরকে পথ দেখানো পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার ১৪ বলে ২টি চারে ২০ রান করেন। শেষ দিকে কেউ পারেননি রান তুলতে, উল্টো শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল। অসাধারণ বোলিং করা কারান ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন আদিল রশিদ ও ক্রিস জর্ডান। বেন স্টোকসের শিকার ১ উইকেট।