এখনো মার্চের বেতন পাননি নারায়ণগঞ্জের অনেক গার্মেন্টস শ্রমিক
করোনাভাইরাসের কারণে নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টসগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হলেও এখন পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন পাননি বহু শ্রমিক।
যার ফলশ্রুতিতে ঘরবন্দির এমন সময়ে অনটনে পড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে।
তবে গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ'র সভাপতির দাবি, ৮৫ শতাংশ গার্মেন্টস কারাখানাই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে। বাকি বেতন আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে প্রদান করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফতুল্লার মল্লিকা এ্যাপারেলস গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রমিকদের কারখানায় ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু গার্মেন্টস কৃর্তপক্ষ তাদের আইডি কার্ড রেখে বেতন না দিয়ে চলে যেতে বলে। চলতি মাসের ২০ তারিখে প্রদান করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় তাদের।
মল্লিকা গার্মেন্টের শ্রমিক শাহাদত হোসেন জানান, "কারখানা বেতন দিবে বলে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু তারা বেতন না দিয়ে আমাদের আইডি কার্ড রেখে দিয়ে বলেছে আগামী ২০ এপ্রিল বেতন প্রদান করা হবে।"
তিনি বলেন, "নারায়নগঞ্জ লকডাউন করার পর থেকে আমারা কোনভাবে খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করেছি। গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ আমাদের আইডি কার্ড রেখে দেয়ায় চাকরি নিয়েও শঙ্কায় আছি।"
মল্লিকা এ্যাপারেলসের শ্রমিক আনোয়ার হোসেন জানান, গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করার কারণে তাদের নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করতে হচ্ছে। কিন্তু তারা স্থানীয় বাসিন্দা না হওয়ার কারনে স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলর কোন পক্ষ থেকেই সরকারি সহযোগিতা পাচ্ছেন না।"
তিনি বলেন, "ঘরে খাবার নেই। তাই এই মুহুর্তে গার্মেন্টসের বেতনের টাকাটা খুবই প্রয়োজন।"
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মল্লিকা গার্মেন্টস কৃর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার এসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান জানান, বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ ফ্যাক্টরির মালিক শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছেন। বাকি যে সব ফ্যাক্টরি আছে তারা আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে বেতন পরিশোধ করবেন।
তিনি বলেন, "বিকেএমইএ'র বাইরে যে সব ফ্যাক্টরি রয়েছে সে সব মালিকদেরও নিধারিত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।"