‘বিকেএমইএ চলছে সেলিম ওসমানের পরামর্শে’: পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার দাবি চেম্বার সভাপতির
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদুজ্জামান বিকেএমইএ পরিচালনা পর্ষদ দ্রুত ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিকেএমইএ'র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের সঙ্গে শামীম ওসমানের বড় ভাই সেলিম ওসমানের এখনও যোগাযোগ রয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে 'কেমন নারায়ণগঞ্জ চাই' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ওই সভায় ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে ফ্যাসিবাদের দোসরদের হটিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরকে কীভাবে গুছিয়ে তোলা যায়, তা নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি মতামত তুলে ধরেন।
মাসুদুজ্জামান বলেন, 'এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হলেও বিকেএমইএ কেন ভাঙা হয়নি? আমি আশা করব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।'
তিনি বলেন, 'যারা বর্তমানে বিকেএমইএ'র নেতৃত্বে আছেন, তারা অবৈধভাবে রয়েছেন। সেলিম ওসমান পদত্যাগ করার পরও কেন তিনি মোহাম্মদ হাতেমকে সভাপতি হিসেবে রেখে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন? তিনি তো পদত্যাগ করেছেন। তার এ ধরনের হস্তক্ষেপ কেন থাকবে?'
তিনি আরও বলেন, 'কয়েক দিন আগে দুজন পরিচালক পদত্যাগ করেছেন। এরপর মোহাম্মদ হাতেম আমার কাছে এসে প্রশ্ন করলেন, "এটা কেন হলো?" এরপর তিনি প্রস্তাব দিলেন যে, সেলিম ওসমান আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। এটা ৫ আগস্টের এক মাস পরের কথা। আমি তখন বললাম, আমি কেন সেলিম ওসমানের সঙ্গে কথা বলব?'
মাসুদুজ্জামান আরও অভিযোগ করেন, পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ-এর (বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন) বর্তমান নেতৃত্ব গার্মেন্টস মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ।
তিনি বলেন, 'ভ্যাট, এনবিআর বা ইনসেন্টিভের কোনো সমস্যার সমাধান তারা করতে পারেনি। গত ১৫ বছরে কতগুলো দেশি বা আন্তর্জাতিক মেলা আয়োজন করা হয়েছে? গার্মেন্টস বাঁচলে মালিক-শ্রমিক বাঁচবে, বাংলাদেশ বাঁচবে। অথচ তারা কখনোই গার্মেন্টসের স্বার্থে কথা বলেনি। গার্মেন্টস মালিকেরা প্রতিনিয়ত দুর্বল হয়ে পড়ছে।'
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনের পর তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য কে এম সেলিম ওসমান বিকেএমইএর সভাপতির পদ ছাড়েন। তিনি প্রায় ১৪ বছর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ও সমঝোতার মাধ্যমে পর্ষদ গঠন করে সভাপতির পদে ছিলেন।
তার পদত্যাগের পর নতুন সভাপতি হন মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আগে সংগঠনটির নির্বাহী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।