বাংলাদেশে অবৈধ বন্যপ্রাণী পাচার ও ব্যবসা: ধারণার চেয়েও গভীর ও বিস্তৃত
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে একের পর এক বন্যপ্রাণী আটক করার খবর আসছে। প্রতিটি ঘটনা আগেরটির চেয়ে অনন্য। সবচেয়ে কল্পনাতীত কিছু জায়গা থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে বন্যপ্রাণী উদ্ধার করতে দেখেছি আমরা।
কয়েকবারই শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত বাসে দেখা গেছে উল্লুক, লজ্জাবতী বানর ও বানর। এসব প্রাণী পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আরেকবার একটি আন্তঃনগর বাসের ছাদে করে বিশাল একটি সিম কাছিম ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ২২ কেজি ওজনের এই প্রাণীটিকে ধরা হয়েছিল জবাই করে খাওয়ার জন্য। বিশ্বব্যাপী বিপন্ন কচ্ছপটিকে অবশ্য উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়।
এ সপ্তাহে আলাদা কিন্তু প্রায় একই রকমের একটা ঘটনা ঘটে। চলতি সপ্তাহে আরও একটি ছোট কিন্তু বিপন্ন প্রায় শতাধিক মিঠা পানির কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে। এরকম ঘটনার সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুই দিনে ২৭টি ফারাও ঈগল-পেঁচা ও আফ্রিকান কালো ঈগল আটক করা হয়। এরা অন্য প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে। পাখিগুলো আফ্রিকা থেকে আনা হচ্ছিল।
বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী ব্যবসা নিয়ে আমার বরাবরই উদ্বেগ ছিল। এই ব্যবসার অনেক গল্প জানি আমি, এসবের খবর পড়ি মাঝেমধ্যেই, নিজের কিছু অভিজ্ঞতাও আছে এ ব্যাপারে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বেশ বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে। এসব ঘটনা মনে প্রশ্ন জাগিয়ে দিয়েছে—অবৈধ বন্যপ্রাণী অপরাধের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে বাংলাদেশের অবস্থানটা তাহলে ঠিক কোথায়? মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত রয়েছে। বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের সোনালি ত্রিভুজ গঠন করেছে যে দেশগুলো, মিয়ানমারও তার অংশ। তারপরে নাম আসে ভিয়েতনামের—যে দেশ তার কুখ্যাত ও ক্রমবর্ধমান বন্যপ্রাণী বাজারের জন্য সুবিদিত। আমরা কি সুপরিকল্পিতভাবে অবৈধ বন্যপ্রাণী বাণিজ্য মোকাবিলা করছি? আমাদের কি আদৌ কোনো সর্বাত্মক পরিকল্পনা আছে?
বন্যপ্রাণী পাচারের অন্যতম প্রধান রুট বাংলাদেশ
মার্কিন অভ্যন্তরীণ ও বাণিজ্য বিভাগ এবং ইউএসএআইডি-র সঙ্গে পরামর্শ করে প্রস্তুত করা যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রকাশিত বন্যপ্রাণী পাচার-সংক্রান্ত প্রতিবেদন 'এলিমিনেট, নিউট্রালাইজ অ্যান্ড ডিসরাপ্ট'-এর (ইএনডি) তথ্যানুসারে, বিশ্বের যে ২৮টি দেশকে বন্যপ্রাণী পাচার পণ্য কিংবা তাদের তাদের থেকে তৈরি পণ্যের প্রধান উৎস এবং বড় ভোক্তা বলে বিবেচনা করা হয়, বাংলাদেশ সেই দেশগুলোর একটি। এছাড়া বন্যপ্রাণী পাচার পণ্য বা তাদের থেকে তৈরি পণ্যের অন্যতম প্রধান ট্রানজিট পয়েন্টও বাংলাদেশ।
ইএনডি ওয়াইল্ডলাইফ ট্র্যাফিকিং রিপোর্টের দুটি সংস্করণে (২০২০ ও ২০২১) দেশগুলোর তালিকায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। তৃতীয়বারও এ তালিকায় স্থান ধরে রাখার মতো যথেষ্ট রসদ আছে বাংলাদেশের।
এ মাসে উদ্ধার করা উল্লুক ও লজ্জাবতী বানরগুলো দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি বন থেকে ধরা হয়েছিল। বাংলাদেশের স্তন্যপায়ী সংরক্ষণবাদী হাসান আল-রাজিকে প্রাণীগুলো আটক করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি পার্বত্য অঞ্চলে হওয়া নিজের অভিজ্ঞতার কথা শোনান। 'শহরের লোকেরা প্রায়ই উল্লুক সংগ্রহের জন্য আদিবাসী উপজাতিদের মোটা অঙ্কের টাকা দেয়। এদের নিশ্চয়ই একটা চেইন আছে।'
চলতি বছরের মার্চে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দুটি কালো ভাল্লুকের শাবক ধরা পড়ে। টাইমস অভ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভালুকগুলো ওখানে গেছে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল থেকে।
এরকম পাচার শুধু পশুর মধ্যেই আটকে নেই। ২০১৭ সালে ভারতের আসামের একজন শৌখিন মৎস্যচাষি আমাকে একটি চোরাচালান চক্রের অস্তিত্বের সন্ধান দিয়েছিলেন। এই চক্রটির টার্গেট ছিল তিলা শোল। বাংলাদেশের মিঠা পানির অত্যন্ত দুর্লভ প্রজাতির এই মাছটির কদর বিশ্বজুড়েউ। বিজ্ঞানীরা এখনও এই মাছের সংখ্যা কত, তা সঠিকভাবে জানতে পারেননি। তবে পাচারকারীরা এ মাছ ভালোই পাচার করছে।
বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের জন্য নিয়মিত ব্যবহৃত হয়, এমন রুটগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা থেকে নানা বৈচিত্র্যময় প্রাণী—লামা, পুডু, ক্যাপুচিন বানর থেকে শুরু করে সিংহ, চিতাবাঘ, জেব্রা পর্যন্ত—আক্ষরিক ও রূপক উভয় অর্থেই আন্তঃসীমান্ত বন্দরগুলোতে স্রোতের মতো চোরাচালান হয়ে আসছে। ব্যবসায়ীরা ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের জ্ঞানের অভাবকে কাজে লাগিয়ে এ অপকর্ম করছে।
একজন কাস্টমস কর্মকর্তা, পাখি-পর্যবেক্ষক এবং আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু একবার সব ধরনের আকার ও আকৃতির প্রাণী এবং পাখির নাম সংবলিত চালানের কিছু তালিকা দেখিয়েছিলেন আমাকে। তালিকাগুলো দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। উটপাখি, ইমু, মান্দারিন হাঁস, কয়েকটি অ্যান্টিলিয়ান তোতাপাখি, এমনকি সারসও ছিল ওই তালিকাগুলোতে। এর মধ্যে কয়েকটি প্রাণী ও পাখিকে বন্যপ্রাণী বাণিজ্য নিরীক্ষণের বৈধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিআইটিইএস (কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইন এনডেঞ্জারড স্পিশিজ অভ ওয়াইল্ড ফনা অ্যান্ড ফ্লোরা) অনুমোদন দিয়েছিল। তবে অনেক প্রজাতি, যেমন আবিসিনিয়ান গ্রাউন্ড হর্নবিল—এদের মধ্যে ১০টি 'বৈধভাবে' আফ্রিকান কালো ঈগলের সঙ্গে আনা হয়েছিল, যার কোনো কাগজপত্র ছিল না—বিলুপ্তির হুমকিতে থাকলেও সিআইটিইএসের তালিকাভুক্ত নয়। কাজেই আইনের ফাঁকফোকর আছে।
বাংলাদেশে বন্যপ্রাণীর বেশ বড়সড় একটা ভোক্তাবাজারও রয়েছে। এ মাসে 'ওরিক্স' জার্নালে প্রকাশিত একদল গবেষকের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ১৩টি বাজার থেকে ৯২৮টি বন্যপ্রাণী বা বন্যপ্রাণীর দেহাংশ আসে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা হচ্ছে পাখির। এসব পাখির অনেকগুলোই বাংলাদেশে পাওয়া যায়। গবেষণা বলছে, এই পাখিগুলোর বেশিরভাগই বিক্রি হয় পোষা প্রাণী হিসেবে। 'বুশমিট'-এর চাহিদার কারণে গড়ে ওঠা আরেকটি খাত হলো কচ্ছপ বাণিজ্য। এমন কোনো মাস নেই, যে মাসে মিঠা পানির কচ্ছপ আটক করার খবর আসে না।
অপ্রতুল জনবল নিয়েই অপরাধ ঠেকানোর প্রাণপণ প্রচেষ্টা, তবু খুব দেরি হয়নি
বাংলাদেশ বন অধিদপ্তর বন্যপ্রাণী ব্যবসার জোয়ারে বাঁধ দিতে সাহসী সব চেষ্টা চালিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক হাজার স্থানীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধার এবং বিদেশি চালান জব্দ করেছে। এমনকি বন্যপ্রাণী অপরাধ হতে দেখলে সে খবর জানানোর জন্য একটি হটলাইন নম্বরও খোলা হয়েছে।
তবে এসমস্ত প্রচেষ্টার মনোযোগ বেশিরভাগ সময়ই থাকছে ফলাফলের ওপর। খুচরা বাজারকে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণে রাখার প্রয়োজন। এছাড়া কাজও আরও বড় পরিসরে করা দরকার। পর্যবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের টিমটির—ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট—পর্যাপ্ত জনবল ও সরঞ্জামাদি নেই।
বন্যপ্রাণী অপরাধের ওপর এমফিল গবেষণা করছেন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা। বিমানবন্দরের অভূতপূর্ব অভিযানটিও তিনিই পরিচালনা করেছেন। নিগার ইতিমধ্যে সংবাদে প্রকাশিত একটি ত্রুটির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, 'বিমানবন্দরে চোরাচালান মনিটর করার জন্য নিযুক্ত করা হলেও সেখানে কিন্তু আমাদের জন্য কোনো ওয়ার্কস্টেশন নেই।'
বন অধিদপ্তর বন্যপ্রাণী-সংক্রান্ত অপরাধ দমনে প্রযুক্তির প্রয়োগও করছে। বাংলাদেশে বাঘের একমাত্র আবাসস্থল সুন্দরবনে এখন জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত স্মার্ট নামের একটি মডিউল এবং সাইবার ট্র্যাকার নামের একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের কয়েকটি বনেও বন্যপ্রাণী বাণিজ্য, শিকার ও বন্যপ্রাণী পাচার পর্যবেক্ষণের জন্য এই প্রযুক্তি দুটি ব্যবহার করা হচ্ছে। উদ্যোগটি কিছু প্রাথমিক সাফল্যের মুখ দেখেছে। যদিও এই উদ্যোগ দেশের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। কারণ বাংলাদেশ এক মেগা-বৈচিত্র্যপূর্ণ জনপদ, যে জনপদে বন্যপ্রাণীর চাহিদা খুব বেশি।
এছাড়া যেসব প্রজাতির প্রাণীর ব্যবসা খুব বেশি করা হচ্ছে এবং/অথবা যেগুলো বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে, সেগুলোকে বাছাই করার জন্য বাজার পর্যবেক্ষণ জোরদার করা প্রয়োজন।
বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের ওপর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি বাংলাদেশের স্কোপিং স্টাডি এবং 'ওরিক্স'-এর গবেষণায় শুধু বিশাল হিমবাহের চূড়াটাই দেখানো হয়েছে। আমাদের আরও গভীরে যেতে হবে, নিয়মিত। কারণ প্রমাণ না থাকলে ভালো উদ্দেশ্য মুখ থুবড়ে পড়ে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্ভবত বন্যপ্রাণীর স্থানীয় চাহিদা রোধ করার জন্য ছোটখাটো চিড়িয়াখানি—বেশিরভাগই ব্যক্তিমালিকানাধীন, কিছু গড়ে উঠেছে সরকারি সংস্থার যোগসাজশে—সম্পূর্ণ বন্ধ করা দরকার। এরকম প্রবণতার জন্য ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পার্বত্য অঞ্চলের বৃহৎ মাংসাশী প্রাণী ভাল্লুক। রাঙামাটিতে ১২ ফুটেরও ছোট খাঁচায় ভাল্লুক প্রদর্শন করা হয়। সবগুলোই বন থেকে ধরে আনা হয়।
পার্বত্য অঞ্চল থেকে শিকার করে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের একটি চিড়িয়াখানায় একটি ছোট ভাল্লুক রাখার খবরও এসেছিল আমার কাছে। এই ভাল্লুকটি সবচেয়ে দুর্লভ দুই প্রজাতির ভাল্লুকের অন্তর্ভুক্ত। তথ্যটি কর্তৃপক্ষকে দেওয়ার পর সবিস্ময়ে দেখলাম, তাদের প্রতিক্রিয়া বড্ড ঢিলেঢালা। কারণ চিড়িয়াখানাটির রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছিল সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে। এরকম ডজনখানেকের বেশি চিড়িয়াখানায় অহরহ ভাল্লুক দেখা যায়। এই চিড়িয়াখানাগুলোর সিংহভাগই বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের চিরহরিৎ বনগুলোর আশপাশে গড়ে উঠেছে। অথচ বিদ্যমান আইনে ভাল্লুক সংরক্ষিত প্রাণী। তাই এ ধরনের আইনবিরোধী কাজ প্রায়ই আইনের ইতিবাচক প্রভাব ফিকে করে দেয় এবং বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের চাহিদার আগুনে ঘি ঢালে।
যারা বিভিন্ন প্রাণী কেনে এবং পোষে, তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে। হাঙর, রে মাছ ও সামুদ্রিক কচ্ছপ আইন দ্বারা সুরক্ষিত। কিন্তু কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগর থেকে এই সবগুলো প্রাণীই ধরা হয়।
ফেসবুক ও ইউটিউব মার্কেটপ্লেস হিসেবে বিকশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য অনেক জায়গার মতো বাংলাদেশেও বন্যপ্রাণীর ব্যবসা রমরমা হয়ে উঠেছে। যারা ঈগল-পেঁচা, কালো ঈগল ও গ্রাউন্ড হর্নবিলের চালানের অর্ডার দিয়েছিল, তাদের মতো ক্রেতাদের খুঁজে বের করতে হবে। কয়েক মাস আগে একটি প্রভাবশালী পরিবারের এক তরুণ সদস্যের কাছ থেকে একটি চিতাবিড়ালের শাবক ও একটি ছোট বনবিড়াল উদ্ধার করা হয়। প্রাণীগুলো বর্তমানে মৌলভীবাজারে পুনঃবনায়ন প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এসব তথ্য-প্রমাণ এক সুতোয় গাঁথলে আপাতদৃষ্টিতে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো অবধারিতভাবে বাংলাদেশে অবৈধ বন্যপ্রাণী ব্যবসার পরিস্থিতির একটি ভয়ানক প্যাটার্ন আমাদের সামনে তুলে ধরবে।
মোদ্দাকথা হলো, আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। অন্য যেকোনো লড়াইয়ের মতো এই যুদ্ধেও আমাদের এ বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে। প্রতিটি বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে। লড়াইয়ে ঢিল দেওয়ার কোনো অবকাশ নেই।