যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রয়েছে মানবাধিকার: মার্কিন দূতাবাস
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, তারা সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগকে অত্যন্ত "গুরুত্বের' সাথে দেখে এবং সেকারণে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার গোষ্ঠীর সাথে সাক্ষাৎ করে থাকে।
আজ রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেন, "বিগত কয়েক বছরে 'মায়ের কান্না' নামক সংগঠনের কাছ থেকে দূতাবাসে কোনোরকম যোগাযোগ করা হয়নি"।
গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহীনবাগে 'মায়ের ডাক' সংগঠনের সাথে এক বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এসময় মায়ের কান্না নামক সংগঠনের প্রতিবাদকারীরা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদদের বিভিন্ন রকম বিবৃতি ও মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাস একথা জানিয়েছে।
এবিষয়ে এক ইমেইল বার্তায় গণমাধ্যমকে আরও ব্যাখ্যা দিয়ে মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির 'কেন্দ্রে' রয়েছে মানবাধিকার। গত ১৪ ডিসেম্বর 'নিরাপত্তাজনিত' উদ্বেগের কারণে রাষ্ট্রদূত 'মায়ের ডাক' এর সঙ্গে তার পূর্বনির্ধারিত বৈঠক সম্পন্ন না করেই চলে আসেন।
'কিছু বিক্ষোভকারী এই বৈঠকে বাধা সৃষ্টি করে, রাষ্ট্রদূত যে ভবনে বৈঠক করছিলেন তারা সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করে। অন্য বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রদূতের গাড়ি ঘিরে ফেলে'- জানান দূতাবাসের মুখপাত্র।
তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকারের 'সর্বোচ্চ পর্যায়ে' এবং ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসকেও এবিষয়ে জানানো হয়েছে।
এর আগে আজ রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, পিটার হাসের শাহীনবাগ সফরের সময় কোনো নিরাপত্তাহীনতা ছিল না।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, পুলিশের কর্মকর্তারা সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনও বলেন যে, পিটার হাস যে পরিস্থিতির মুখে পড়েন তাকে 'নিরাপত্তা জনিত হুমকি' বলা যায় না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "এটাকে নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখার কোনো সুযোগ নেই।" এতে ঢাকা--ওয়াশিংটন সম্পর্ক প্রভাবিত হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।