বোরো মৌসুমের আগে ব্যাংক-বিমুখ কৃষকদের জন্য সহজ ঋণ
৪ শতাংশ স্বল্প সুদহারে জামানতবিহীন ঋণ। শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়েই পাওয়া যাবে এই ঋণের অর্থ।
প্রস্তাবটি শুনতে বেশ লোভনীয়। কিন্তু কৃষকদের জন্য এটা বিশ্বাস করা কঠিন, কারণ তাদের ব্যাংক-সংক্রান্ত অতীত অভিজ্ঞতা ভীতিকর। অনেক কৃষকই ব্যাংককে ভয় পান। তাদের জন্য এ ধরনের ঋণ প্রকল্প সম্পর্কেও জানেন না। জরুরি ভিত্তিতে অর্থের প্রয়োজন হলে তারা ছুটে যান এনজিওগুলোর দুয়ারে। এনজিওগুলো সুদ বেশি নিলেও কোনো প্রকার ঝামেলা ও কাগজপত্র ছাড়াই বাড়িতে গিয়ে টাকা দিয়ে আসে।
দেশের ধান চাষের বৃহত্তম বোরো মৌসুম শুরু হচ্ছে, তাই কৃষকদের এখন টাকার প্রয়োজন।
বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে ক্রমবর্ধমান উৎপাদন খরচের মধ্যে কৃষকদের সাহায্য করার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে। কিন্তু কয়েকটি জেলা থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, কৃষকদের কাছ থেকে সাড়া গেছে একেবারেই কম।
গ্রামাঞ্চলের ক্ষুদ্র কৃষকদের মধ্যে বিদ্যমান ব্যাংকভীতি দূর করতে কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদের জন্য ঋণ সহজলভ্য করতে স্থানীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। কৃষকদের এই সহজ ঋণের স্কিম সম্পর্কে জানানোর জন্য ব্যাপক প্রচারাভিযান ও কৃষক-গোষ্ঠীগুলোর জন্য ব্যাংকের বাইরে কাউন্টার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে৷
জেলা প্রশাসকদের এই প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধান করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, 'আমরা যেহেতু উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি, সেক্ষেত্রে বিনিয়োগও সহজ করার চিন্তা থেকেই এই ৪ শতাংশ সুদের ঋণটা। এখন এই ঋণ যাতে সহজে পায়, সেজন্য আমরা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে মিটিং করেছি।
'প্রথমত আমরা কৃষকদের জেলাভিত্তিক একটা তালিকা জেলা প্রসাশকদের কাছে দেব। এখানে আগ্রহীদের ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাংকের বাইরে এলাকাভিত্তিক ওপেন জায়গায় স্টল করে ঋণ প্রসেস করতে বলা হয়েছে। এখানে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বিনা কোলাটেরলে এনআইডি কার্ড দিয়েই কৃষকরা ঋণ পাবেন।'
দেশজুড়ে ব্যাংকের কাছে যেতে অনিচ্ছুক হাজারো কৃষক চড়া সুদে ঋণের জন্য এনজিওগুলোর কাছে যাচ্ছে।
এনজিওর ঋণ নিতে কোথাও যাওয়ার দরকার পড়ে না, বাড়িতে বসেই পাওয়া যায়। এনজিওর এই ঋণ পাওয়ার পুরো প্রক্রিয়াই অনেক সহজ, এতে সময়ও লাগে অনেক কম। এছাড়া ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তিও ব্যাংকে গিয়ে দিয়ে আসতে হয়। এনজিওর ঋণে এই ঝামেলা নেই।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, এবারে বোরো মৌসুম উপলক্ষে স্থানীয়ভাবে সহজে প্রবেশযোগ্য ডেস্ক বসিয়ে কৃষকদের ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বছর বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ মিলিয়ন টন, যা আগের বছরের চেয়ে বেশি।
পোলট্রি, দুধ উৎপাদন, ধান, শাকসবজি, ফল ও ফুল চাষে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন কৃষকরা।
জামানত ছাড়াই জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে কৃষকরা এই ঋণ নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া টিবিএসকে বলেন, ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্থির করে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে হবে, কারণ কৃষকদের বেশি অর্থের প্রয়োজন।
যেসব কৃষক সাধারণত ব্যাংক থেকে ঋণ নেন না, তাদের টার্গেট করার আহ্বান জানান তিনি।
'তা না হলে প্রকৃত কৃষকদের জন্য ঋণ নিশ্চিত করা যাবে না। এটি করতে হলে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর শীর্ষ ব্যবস্থাপনাকে কৃষি ঋণ বিতরণের ওপর নজরদারি করতে হবে।'
আলী হোসেন বলেন, সরকারের উচিত কৃষিঋণ প্রদান ও বিতরণের নীতিমালা সহজ করা। গ্রামীণ এলাকায় যাতে ব্যাংকগুলো কম সুদহারে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করতে পারে, সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র, জমির দলিল, জমি ইত্যাদির মতো বেশ কিছু নথি প্রয়োজন হয় বলে কৃষকরাও ব্যাংকে যেতে চান না।
'কৃষকদের রোপণ, সেচ এবং সার কেনার জন্য টাকা লাগে। দরকারের সময় টাকা পান বলে তারা ব্যাংকে যেতে চান না।,' বলেন তিনি।
মাঝে মাঝে ব্যাংকারদের সঙ্গে যুক্ত মধ্যস্বত্বভোগীরা তাদের কমিশন কেটে রাখে বলে কৃষকরা ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত অর্থের পুরোটা পান না।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঘোষিত কৃষিঋণ ও পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্প থেকে যথাযথ ফলাফল নিশ্চিত করতে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা প্রয়োজন।
বৃহত্তম উৎপাদন মৌসুমের আগে কৃষকদের অর্থ প্রয়োজন
দিনাজপুর, বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহ, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৩ শতাংশ সুদের ঋণের সুবিধা সম্পর্কে তারা এখনও ঠিকমতো জানেনই না।
অথচ সামনেই দেশের সবচেয়ে বড় ধান উৎপাদনের মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে। তখন কৃষদের টাকার প্রয়োজন পড়বে।
গত মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন জেলায় ফসলের ক্ষতি, ঘূর্ণিঝড়ে সবজিসহ আমনের ক্ষতি ও খরায় বীজলতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেক কৃষকই এখন অর্থসংকটে রয়েছেন।
বগুড়ার নন্দীগ্রামের বুরইল ইউনিয়ের কৃষক শ্রী কৃষ্ণ ১২ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করেন। তিনি জানান, এক বিঘা জমিতে ধানচাষ করতে সার, পানি, কীটনাশক ও শ্রমিকের পেছনে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা খরচ হয়।
তিনি বলেন, 'প্রতিবছরই টাকা নিই এনজিও থেকে। ব্যাংকে গেলে দালাল ধরতে হয়, ঘুষ দিতে হয়।'
৪ শতাংশ সুদে ঋণের বিষয়ে তিনি বলেন, 'এগুলোর খোঁজ রেখে লাভ নাই। ব্যাংকে গেলে আমাদের ঘোরাবে, আমার মতো সাধারণ কৃষককে ঋণ দেবে না।'
কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রকৃত কৃষকের মধ্যে ঋণ বিতরণে ব্যাংকের অনীহা বেশ পুরোনো।
এই সমস্যা দূর করতে বিশেষ প্রচারণা বা কর্মসূচি নেওয়া হয় না।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম খান টিবিএসকে বলেন, 'কৃষকের কাছ থেকে বাড়তি উৎপাদন চাইলে ৪ শতাংশ সুদের ঋণ পাওয়ার বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণার পাশাপাশি সিস্টেমকে সহজ করার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে এই ঋণটা ৬ মাসের একটা স্কিমের মতো করেও দেয়া যায়, যাতে ফসল কাটা শেষে টাকা ফেরত দিতে পারে।'
তিনি বলেন, 'এখানে শুধু ব্যাংকের ওপর নির্ভর না করে পিকেএসএফের মাধ্যমে এনজিওগুলোর একটা কোলাবোরেশনব করা গেলে এটার উদ্দেশ্যটা অনেকখানিই পূরণ করা সম্ভব হবে।'
সরকারি তথ্য বলছে, করোনা মহামারির সময় অন্যান্য বেশিরভাগ পেশার মানুষ যখন ঘরবন্দি ছিল, সেই কঠিন পরিস্থিতিতে কৃষকরা খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রেখে নিজেদের মূল্য প্রমাণ করেছেন। ওই সময়েও বোরোর ফলন বৃদ্ধির গতি বজায় ছিল।
২০২০ সালের গোড়ার দিকে করোনভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের কৃষি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সহায়তা করার জন্য বীজ সহায়তায় ১০০ কোটি টাকা এবং খামার যান্ত্রিকীকরণে ১০০ কোটি টাকার ছাড়াও কৃষকদের জন্য ৫ জাকার কোটি টাকা প্রণোদনা ঋণ ঘোষণা করেছিলেন।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন, কোনো কৃষিজমি যেন অনাবাদি ফেলে না রাখা হয়।
কিন্তু চড়া শ্রম মজুরি, সেচ কাজে ব্যবহৃত ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং সারের ক্রমবর্ধমান খরচ কৃষকদের জন্য প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কৃষি অর্থনীতিবিদরা কৃষকদের চাষের বর্ধিত খরচ বহনের জন্য নগদ সহায়তা দেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন।
শুধু ধান চাষ নয়, বন্যা ও বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ডাল ও অন্যান্য ফসল চাষের জন্য কৃষকদের অর্থের খুব প্রয়োজন। পাবনার এক গ্রামের এক কৃষক জানান, তিনি দুবার কলাই আবাদ করেছেন, দুবারই বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি এখন আগামী ধানের খরচ মেটানো নিয়ে চিন্তায় আছেন।
বিশ্বজুড়ে কৃষকদের ঋণ
কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধ, চরম জলবায়ু এবং ক্রমবর্ধমান উৎপাদন খরচ বিশ্বকে আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় খাদ্য সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এতে দেশগুলো খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জন্য কৃষকদের অর্থসহায়তা দিচ্ছে।
এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকাজুড়ে সরকারগুলো যেসব কৃষক কৃষিকাজ করতে ব্যাংকঋণ পান না তাদের জন্য কৃষিঋণ কর্মসূচির আওতা বাড়াচ্ছে।
প্রতিবেশী ভারত—বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী—কৃষকদের ৭ শতাংশ সুদে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদী কৃষিঋণ দিতে একটি উদার স্কিম চালু করেছে। সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে পারলে কৃষকরা ৩ শতাংশ ছাড়ও পাবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে কৃষকরা জ্বালানি, সার ও পশুখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলা করতে খামারেপ্রতি এককালীন ১৫ হাজার ইউরো এককালীন নগদ সহায়তা পাবেন।
এই ১.৫ বিলিয়ন ইউরোর স্কিমটি কৃষকদের খাদ্য উৎপাদন এবং তাদের জমি ও পরিবারের যত্ন নেওয়ার লক্ষ্যে কৃষিনীতির অধীনে দেওয়া সহায়তার একটি সিরিজের সাম্প্রতিকতম উদ্যোগ। ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক (ইআইবি) জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট-এর (ইফাড) সঙ্গে মিলে ক্ষুদ্র পরিসরের গ্রামীণ কৃষকদের জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য, সার ও জ্বালানির উচ্চমূল্যের মোকাবিলা করতে সহায়তা করতে ৬০০ মিলিয়ন ইউরোর একটি তহবিল গঠন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোভিড, জলবায়ু প্রতিকূলতা এবং তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরের কারণে সৃষ্ট ক্ষতির কারণে ঋণ পরিশোধে অক্ষম কৃষকদের জন্য একটি অনন্য প্রকল্প ঘোষণা করেছে।
ঋণগ্রহীতারা ঋণ ত্রাণ হিসাবে গড়ে ৫২ হাজার ডলার পাবেন। ইউএস এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট আগামী মাসে দেউলিয়া হওয়া এড়াতে তাদের বকেয়া বা কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যাংকগুলোতে অর্থ পাঠাতে ৮০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে।
১০০ শতাংশ ঋণ বিতরণের দাবি রাজশাহী কৃষি ব্যাংকের
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের এমডি জাহিদুল হক জানান, চলতি বছর ব্যাংকটির আওতায় রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলে ৩ হহাজার ২৫০ কোটি টাকা ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
এর মধ্যে সরাসরি শস্য উৎপাদনের জন্য কৃষিঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
এসব জায়গায় শতভাগ কৃষিঋণ বিতরণ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর লেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংক ও ব্যাংকারদের আরগহের অভাবেই মূলত কৃষি খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
ব্যাংকারদের মধ্যে শিল্পপতি, বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি ব্যবসায়ীদের ভেতর থেকে সম্ভাব্য ঋণগ্রহীতা খোঁজার প্রবণতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কয়েকটি বড় গ্রাহককে ঋণ বিতরণ করেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারে।
'ব্যাংকাররাও ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত সুবিধা পান। অন্যদিকে ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের দায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।'
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে, কিন্তু তা পূরণে ব্যর্থ ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিশ্চিত করে না।
(টিবিএসের বগুড়া প্রতিনিধি খোরশেদ আলম এবং রাজশাহী প্রতিনিধি সানা উল্লাহ সানু প্রতিবেদনটি তৈরিতে অবদান রেখেছেন)