রেমিট্যান্সে আরও প্রণোদনার দাবি প্রবাসীদের
পেনশন স্কিমের আকারে রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন অভিবাসী শ্রমিকরা।
"প্রবাসীরা যখন দেশে ফিরে আসেন তখন তাদের হাতে আর কোনো টাকা থাকে না। প্রবাসীদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রণোদনার পাশাপাশি (বর্তমানে ২.৫%) আরও ১.৫% পেনশন স্কিম চালু করার দাবি জানাই", রোববার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন এনআরবি (নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি) সিআইপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান (নাসির)।
"যেকোনো প্রবাসী কমপক্ষে ১০ বছর প্রবাসজীবন শেষ করার পর অথবা একেবারে দেশে চলে আসলে তখন তার লভ্যাংশসহ যেন তিনি ফেরত পান। এতে তারা লিগ্যাল চ্যানেলে টাকা পাঠাতে আরও বেশি উৎসাহিত হবেন," ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তার মতে, এ টাকা দিয়ে প্রবাসীরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি সরকার বড় ধরণের বিনিয়োগে এই টাকা ব্যবহার করে লাভবান হতে পারেন।
তিনি বলেন, "বর্তমানে একজন প্রবাসী মারা গেলে তার পরিবারকে ৩.৩৬ লাখ টাকা দেয়া হয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এর পরিমাণ ১০ লাখ টাকা করার দাবি জানাচ্ছি।"
প্রবাসীদের জন্য বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন থেকে সরাসরি ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেয়া, শ্রমিকদের মরদেহ আনয়ন দ্রত করা এবং অহেতুক কোনো প্রকার কষ্ট ভোগ না করার বিষয়ে সচেষ্ট থাকার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
"বর্তমানে যখন অনেককে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হওয়ার জন্য অ্যাপ্লিকেশনের আহ্বান জানাই, তারা ভয় পান। দরখাস্ত করলে অনেক ধরণের তথ্য দিতে হয় এবং অনেক সংস্থা হয়রানি করে। আমি অনুরোধ করব প্রবাসী হয়রানি বন্ধ করার জন্য," বলেন তিনি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, "রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বিনিময়হারে যেন সঠিক পরিমাণ পয়সা পায়, সেটা দেখতে হবে। আর পেনশন স্কিমের আওতায় যদি প্রণোদনা বাড়িয়ে দেয়া হয়, তাহলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে।"
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, "বাধ্যতামূলক পেনশন স্কিমের জন্য সরকার কাজ করছে। এজন্য প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। কিছু না কিছু ফল পাওয়া যাবে।"
প্রবাসী সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন জনান যে, তারা একটি 'ম্যান্ডেটরি সেভিংস স্কিম' নিয়ে কাজ করছেন।
অনুষ্ঠানে এনআরবি সিআইপি ২০১৯ এর জন্য মনোনীত ৬৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা এবং ১৬৮৮ জন প্রবাসী কর্মীর সন্তানকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।