চট্টগ্রামে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় চার মামলা, আসামি দেড় হাজার
চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মামলা করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। অপর মামলার বাদী চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। চার মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেমসহ ২৭৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১৩০০ জনকে।
মঙ্গলবার কোতোয়ালী থানার এসআই মো. আজাদ হোসেন, সিএমপির ট্রাফিক সার্জেন্ট চয়ন নাইডু ও জেলা পুলিশের এস আই আল আমিন বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির।
জাহিদুল কবির বলেন, 'পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা, অগ্নিসংযোগ ও দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগে কোতোয়ালি থানার পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। অপর মামলাটি দায়ের করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।'
তিনি আরও বলেন, 'সংঘর্ষের সময় ২০ জনকে আটক করার পর ১৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।'
থানা সূত্রে জানা গেছে, সিআরবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আজাদ হোসেন বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেছেন। দুই মামলায় ১৯২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয়ের ১০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের সার্জেন্ট চয়ন নাইড়ুর দায়ের করা মামলায় ৫৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয়ের ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মিরসরাই থানার এসআই আল আমিন বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২৪ বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ১০ দফা দাবি আদায়ে গত সোমবার নগর বিএনপি কার্যালয় নসিমন ভবনে সমাবেশের আয়োজন করে নগর বিএনপি। সমাবেশ চলাকালে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কাজীর দেউড়ি মোড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি কর্মীরা। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কাজীর দেউরি পুলিশ বক্সের সামনে রাখা একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন ও বেশকিছু দোকানপাট ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও শটগানের গুলি চালিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।