হিটলারের গ্লোব, জুলে রিমে ট্রফি, ম্যালরির ক্যামেরা— কোথায় সব?
হলি গ্রেইল থেকে এল ডোরাডো কিংবা ফাউন্টেইন অফ দ্য ইয়ুথ, বহুদিন ধরে মানুষ খুঁজে ফিরছে। কিন্তু এগুলো আসল নাকি কেবলই লোককথা, তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ। তবে এমন কিছু হারানো সম্পদ রয়েছে, যেগুলো বাস্তবে ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। ইতিহাসের পাতায় এগুলো থাকার প্রমাণ জাজ্বল্যমান হলেও বহুদিন হলো এগুলো রয়েছে লোকচক্ষুর আড়ালে। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে নাকি এখনো কোথাও পড়ে রয়েছে, তা নিয়ে আজও চলছে অনুসন্ধান।
অ্যাম্বার রুম
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পর অ্যাম্বার রুম কোথায় তা একটি রহস্যে পরিণত হয়েছে। রুশ জার পিটার দ্য গ্রেটের জন্য উপহার হিসেবে ১৭১৬ সালে এই অ্যাম্বার রুম তৈরি করা হয়েছিল। সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে ক্যাথেরিন প্যালেসে রক্ষিত ছিল ৫৯০ বর্গফুটের অ্যাম্বার এবং অন্যান্য মূল্যবান পাথর দিয়ে বানানো ৬ টন ওজনের এই রুম।
১৯৪১ সালে যখন নাৎসিরা এই অঞ্চল দখল করে নেয়, তখন তারা দ্রুত এই ঘরটি নিয়ে কোনিগসবার্গে পাঠিয়ে দেয় এবং কোনিগসবার্গের দুর্গের জাদুঘরে স্থাপন করে। দুই বছর ধরে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ১৯৪৩ সাল নাগাদ যুদ্ধে জার্মানির অবস্থা শোচনীয় হতে থাকে। তখন জাদুঘরের পরিচালককে অ্যাম্বার রুমটিকে অন্য কোথাও পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনি প্যানেলগুলো আদৌ সংরক্ষণ করেছিলেন কি না তা আজও অজানা।
অ্যামাব্র রুমের পরবর্তী অবস্থা নিয়ে প্রচুর গুজব এবং জল্পনা-কল্পনা রয়েছে, তবে সর্বাধিক গৃহীত তত্ত্ব হল যে দুর্গের জাদুঘরে বোমা হামলার সময় অ্যাম্বার রুমটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। যদিও কেজিবি এটি মেনে নেয়নি। যুদ্ধের পর বহু বছর ধরে তারা অ্যাম্বার রুমের অনুসন্ধান চালিয়ে যায়। তাদের বিশ্বাস, বোমা পড়ার আগেই একে জার্মানির বাইরে পাঠানো হয়েছিল অথবা কোনো ভূগর্ভস্থ জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
হিটলারের গ্লোব
দ্য কলম্বাস গ্লোব ফর স্টেট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি লিডারস, যেটি ফ্যুয়েরার গ্লোব নামেও পরিচিত, মূলত বিখ্যাত হয়েছিল চার্লি ভ্যাপলিনের মাধ্যমে। চ্যাপলিন তার দ্য গ্রেট ডিক্টেটর চলচ্চিত্রটি হিটলারকে ব্যঙ্গ করেই বানিয়েছিলেন। সেখানে গ্লোবটির সাথে চ্যাপলিনকে হিটলার হিসেবে নাচতে দেখা যায়। কিন্তু গ্লোবটি কোনো অবাস্তব কিছু নয়। ১৯৩০-এর দশকে নির্মিত এই গ্লোবটির আকার ও ওজন একটি ফোক্সওয়াগেন গাড়ির মতো ছিল। বার্লিনের রাইখ চ্যান্সেলারিতে হিটলারের বিশাল অফিসে এটি রাখা ছিল।
১৯৪৫ সালে রুশ সৈন্যরা বার্লিনের দিকে এগিয়ে আসতেই হিটলার তার অফিস ছেড়ে এক ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে আশ্রয় নেন, তার গ্লোবটিকে রেখেই। রুশ বাহিনী বার্লিনের অফিস দখল করার পর হিটলারের অফিসে তোলা ছবিতে গ্লোবটিকে দেখা গেলেও তারপর গ্লোবটির কী হয়েছে তা সম্পর্কে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। অনেকেই অনুমান করে, গ্লোবটি সোভিয়েত কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স বাহিনী নিয়ে যায় এবং স্তালিন অথবা সোভিয়েত এনকেভিডি গুপ্তচর সংস্থার প্রধান বেরিয়ার অফিসে রাখা হয়।
নাৎসি 'ব্লাড ফ্লাগ'
বিয়ার হল পুশ বিদ্রোহের সময় এক এসএ সদস্যের রক্তে ভিজে যায় নাৎসি বাহিনীর এক পতাকা। ব্লুটফানে বা 'ব্লাড ফ্লাগ' নামের এই পতাকাটি পরবর্তীতে নাৎসি দলের কাছে এক পবিত্র নিদর্শন হয়ে ওঠে। এরপর থেকে নাৎসি পার্টির প্যারামিলিটারি দল এসএ-র হাতে নিয়মিত দেখা যেতে থাকে এটিকে। নাৎসিদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই পতাকাটিকে ওড়ানো হতো।
মিউনিখে এসএস-এর সদরদপ্তরে রাখা ব্লুটফানেকে শেষবার জনসম্মুখে দেখা গিয়েছিল ১৯৪৪ সালে। এরপর মিউনিখে মিত্রবাহিনীর বোমা হামলার সময় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল নাকি একে যুদ্ধকালীন স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে নিয়ে গিয়েছিল মিত্রবাহিনীর কোনো দল তা জানা যায় না।
স্যাফোর হারিয়ে যাওয়া কবিতা
কবি স্যাফো প্রাচীন গ্রীসে এতটাই বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় ছিলেন যে মুদ্রায় তার মুখের ছবি ব্যবহার করা হতো। প্লেটো তাকে ডাকতেন 'দ্য টেন্থ মিউজ' নামে। তার নাম থেকেই 'স্যাফিক' শব্দের উৎপত্তি। একইসাথে তার জন্মস্থান লেসবোস থেকেই 'লেসবিয়ান' শব্দ এসেছে। কিন্তু তিনি তার জীবদ্দশায় যে নয় খণ্ডের বই লিখেছেন, তার মধ্যে কেবল একটি সম্পূর্ণ কবিতা, "ওড টু আফ্রোদিতি" টিকে আছে। অন্যান্য লেখকের কবিতার বিভিন্ন অংশে স্যাফোর কবিতা থেকে উদ্ধৃত কিছু বাক্য থেকে আরও কিছু কবিতার টুকরো টুকরো অংশ পাওয়া যায়।
স্যাফোর কবিতা হারিয়ে যাওয়ার একটি কারণ হিসেবে মনে করা হয়: মধ্যযুগে প্যাপিরাস থেকে অন্য জায়গায় লেখা স্থানান্তর করার সময় মধ্যযুগীয় লেখকরা গীতিকবিতার চেয়ে ইতিহাস এবং দর্শনে বেশি আগ্রহী ছিলেন। এ কারণে তার কাজ অনুলিপি না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে ২০১৪ সালে একজন অক্সফোর্ড প্যাপিরোলজিস্ট ঘোষণা করেছিলেন যে, স্যাফোর একটি সম্পূর্ণ কবিতা আবিষ্কার করেছেন এবং অন্য আরেকটি কবিতার টুকরো অংশ পেয়েছেন। তাই এখনো স্যাফোর হারিয়ে যাওয়া কবিতাগুলো পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রথম ফিচার ফিল্ম: 'দ্য স্টোরি অফ দ্য কেলি গ্যাং'
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন এবং এর আশেপাশের এলাকায় ১৯০৪ সালে শ্যুট করা হয়েছিল ইতিহাসের প্রথম ফিচার ফিল্ম 'দ্য স্টোরি অফ দ্য কেলি গ্যাং'। মুক্তি পাওয়ার সময় এটি ছিল সর্বকালের দীর্ঘতম চলচ্চিত্র, দৈর্ঘ্যে এক ঘন্টারও বেশি। সহিংসতাকে আকর্ষণীয় করে তোলার বিতর্ক এবং বেশ কয়েকটি অস্ট্রেলিয়ান রাজ্যে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ছবিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে, এবং ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিনেমা হলে দেখানো হয়। যখন এর কাজের মেয়াদ ফুরিয়ে যায়, তারপর তখন কেউ ভুল করেও এক একটি প্রতিলিপি তৈরি করে রাখার কথা ভাবেনি।
১৯৭৬ সাল পর্যন্ত সিনেমাটি সম্পূর্ণ হারিয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হতো। তবে হঠাৎ করেই ফিল্মটির কয়েক সেকেন্ডের ফুটেজ আবিষ্কৃত হয়। ১৯৭৮ সালে আরও কিছু অংশ পাওয়া যায়। ১৯৮০ সালে অস্ট্রেলিয়ার এক আবর্জনা স্তূপে আরও কিছু ফুটেজের অংশ খুঁজে পাওয়া যায় এবং ২০০৬ সালে যুক্তরাজ্যে চলচ্চিত্রটির একটি লম্বা সিকোয়েন্স আবিষ্কৃত হয়। এখনো পর্যন্ত, ফিল্মটির ১৭ মিনিটের ফুটেজ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।
জর্জ ম্যালরির ক্যামেরা
১৯২৪ সালে ব্রিটিশ পর্বতারোহী জর্জ ম্যালরি এবং অ্যান্ড্রু ইরভিন মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের চেষ্টা করলেও তারা সফল হয়েছিলেন কিনা তা কেউ জানতে পারেনি। কারণ সেই অভিযান থেকে কেউই ফিরে আসেননি। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তাদের দুজনের পরিণতি কী হয়েছিল তা সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। তারপর এভারেস্টের চূড়া থেকে মাত্র দুই হাজার ফুট দূরে ম্যালরির মৃতদেহ আবিষ্কার করা হয়। যদি এই জুটি এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছায়, তবে তারা নিশ্চিতভাবেই ২৯ বছর পরে এভারেস্ট জয় করা 'স্বীকৃত' প্রথম জুটি তেনজিং নোরগে এবং স্যার এডমন্ড হিলারিকে হারিয়েছিলেন।
ম্যালরির মৃতদেহ পাওয়া গেলেও তার ক্যামেরা এবং সহযাত্রী ইরভিনের মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। ইরভিনের কাছেই সম্ভবত ক্যামেরাটি ছিল। যদি এটি পুনরুদ্ধার করা যায় এবং সেখান থেকে ফিল্মটি পাওয়া যায়, তবে এটি পর্বত আরোহণের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রহস্যের সমাধান করতে পারে। ম্যালরি এবং ইরভিন এভারেস্টের চূড়ার ছবি যে তুলতে পেরেছিলেন তা সম্পর্কে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্যামেরা এবং ইরভিনের পরিণতি নিয়ে দুটি তত্ত্ব রয়েছে। প্রথমটি, ১৯৭০-এর দশকে একটি চীনা অভিযাত্রী দল ইরভিন এবং তার ক্যামেরাকে আবিষাক্র করে এবং তাদের সাথে নিয়ে যায়। দ্বিতীয়টি হলো, এখনো বরফের মধ্যে জমাটবদ্ধ হয়ে কারো আবিষ্কারের জন্য অপেক্ষা করছে সেটি।
দ্য লস্ট ডাচম্যান'স মাইন
আমেরিকার পশ্চিমে 'হারানো খনি' সম্পর্কে অগণিত কিংবদন্তি থাকলেও 'লস্ট ডাচম্যান'স মাইন'-এর চেয়ে বিখ্যাত আর কোনোটি নেই। ফিনিক্সের পূর্বদিকে থাকা সুপারস্টিশনস মাউন্টেইন্সের কাছাকাছি কোথাও এই খনির অবস্থান বলে লোকমুখে শোনা যায়। লস্ট ডাচম্যান'স মাইনের গুজব অনুযায়ী এতে অকল্পনীয় পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।
লস্ট ডাচম্যানস মাইন-এর ক্ষেত্রে সত্য তথ্য, কিংবদন্তি আর ভাঁওতাবাজি এত বেশি আর একটির সাথে অন্যটি এত ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত যে একে আলাদা করা খুব কঠিন। তারপরেও এই খনি খুঁজতে মানুষের চেষ্টা-পরিশ্রমের কমতি নেই। ১৮৯২ সালে এই খনির গল্পের শুরু হয়, যখন জ্যাকব 'দ্য ডাচম্যান' ওয়াল্টজ নামের এক প্রস্পেকটর তার মৃত্যুশয্যায় রাজকীয় সম্পদ খুঁজে পাওয়ার কথা বলে যান। কেউ কেউ ধারণা করে এটি অক্লপনীয় সোনার ভাণ্ডার হিসেবে। আবার কেউ কেউ একে অ্যাপাচি ইন্ডিয়ান বা স্প্যানিশদের লুকিয়ে রাখা সোনা মনে করে। তারপর থেকে এই সোনার খনির পেছনে হাজার হাজার লোক ঘুরে বেড়িয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর এখনো ৯ হাজার লোক এটি খোঁজার পেছনে অভিযানে নামে। কেউ গুপ্তধন খুঁজে না পেলেও অনেকেই তাদের মরণকে খুঁজে পেয়েছে, প্রায়ই মাথাবিচ্ছিন্ন অবস্থায়!
১৯৩১ সালে ড. অ্যাডলফ রুথের মৃতদেহ আবিষ্কার হয় অ্যারিজোনা প্রান্তরে। তার মাথা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তার গায়ের সাথে একটি নোট পাওয়া যায়, যেখানে লেখা ছিল যে তিনি খনিটি খুঁজে পেয়েছিলেন। তবে তার কোনো ম্যাপ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ১৯৪০-এর দশকে জেমস এ. ক্রেভি নামের আরেকজন খনি খোঁজার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যাওয়ার আগে বন্ধুদেরকে বলে এসেছিলেন যে তিনি খনিটির অবস্থান সম্পর্কে জানেন। তিনি হেলিকপ্টারে সেখানে যান এবং পাইলটকে ১০ দিন পর নির্দিষ্ট স্থানে ফিরে আসতে বলেন। তবে পাইলটের সাথে তিনি আর নির্দিষ্ট স্থানে দেখা করেননি। কয়েক মাস পর তার মাথাবিহীন দেহ পাওয়া যায়।
১৯৫০-এর দশকে জে ক্ল্যাপ নামের আরেক প্রস্পেকটর এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খনির সন্ধান করছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি এক অভিযানে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেননি। ৩ বছর পর তার ক্রেভির মতো তারও মাথাবিহীন দেহ আবিষ্কৃত হয়।
লস্ট ডাচম্যান'স মাইন খুঁজতে গিয়ে ২০০৯ সালেও আরেকটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ২০০৯ সালে জেসি ক্যাপেন নামের আরেকজন অভিযানে গিয়ে ফেরত আসেননি। তিন বছর পর তার মৃতদেহ এক ফাটলের মধ্যে পাওয়া যায়।
জুলে রিমে ট্রফি
১৯৭০ সাল পর্যন্ত বিশ্বকাপ জেতা দলকে জুলে রিমে ট্রফি দেওয়া হতো। ১৯৬৬ সালে যুক্তরাজ্যের এক প্রদর্শনী থেকে ট্রফিটি চুরি হয়ে যায়। এক সপ্তাহ পর পিকেলস নামের একটি কুকুর ট্রফিটিকে পত্রিকা দিয়ে মোড়াও অবস্থায় খুঁজে বের করে। ৪ মাস পর স্বাগতিক ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জয়ের পর পিকেলসকে আমন্ত্রণ জানানো হয় সেখানে।
জুলে রিমে ট্রফির শর্ত অনুযায়ী, যে দেশ প্রথম তিনবার বিশ্বকাপ জিতবে, তাকে স্থায়ীভাবে ট্রফিটি দিয়ে দেওয়া হবে। ১৯৭০ সালে ব্রাজিল তৃতীয়বার বিশ্বকাপ জিতে ট্রফিটিকে নিজেদের করে নেয়। তবে সেটি বেশিদিন নিজেদের অধিকারে রাখতে পারেনি। ব্রাজিলীয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, ১৯৮৩ সালে সার্জিও পেরালটা নামের একজন তার দুইজন সহকারীকে নিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের ভবনে ঢুকে রক্ষীকে অচেতন করে জুলে রিমে ট্রফিসহ আরও বেশ কিছু ট্রফি নিয়ে পালিয়ে যায়। পেরালটাকে ধরা হয় এবং ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কারাবন্দী অবস্থায় থাকেন। পেরালটা অবশ্য ট্রফিটি কী করেছেন বা কোথায় রেখেছেন তা সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি এবং নিজের কবরেই সেই গোপন তথ্য নিয়ে গিয়েছেন। হয় তিনি ট্রফিটি গলিয়ে ফেলেছেন অথবা এখনো এটি কারো উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছে।
- সূত্র: এমএসএন/লাইফহ্যাকার