গণশুনানি ছাড়াই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের জন্য সংসদে বিল উত্থাপন
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল রোববার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। যার লক্ষ্য সরকারের জন্য গণশুনানি ছাড়াই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণের সুযোগ তৈরি করা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো হয়।
কমিটিকে পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত ৫ জানুয়ারি সংসদে 'বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২'- উত্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন-২০০৩ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেন।
সরকারকে জ্বালানি তেলের পাশাপাশি গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার অনুমতি দেয়ার সংশোধনী নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় গত ১ ডিসেম্বর গেজেট জারি করে।
এর আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কোনো শুনানি ছাড়াই ডিজেল, অকটেন, কেরোসিন ও পেট্রোলসহ জ্বালানির দাম সমন্বয় করলেও বিইআরসি শুনানির মাধ্যমে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) অ্যাক্ট-২০০৩ সংশোধনের ফলে গ্যাস ও বিদ্যুতের নতুন দাম নির্ধারণের জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের শুনানির প্রয়োজন হবে না।
বিইআরসি একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, যা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি অ্যাক্ট ২০০৩ এর ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যার লক্ষ্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামো উন্নত করা। এর আগে তিনবার আইনটি সংশোধিত হয়েছে।
কমিশনের গণশুনানি এবং সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে, বিশেষ পরিস্থিতিতে নিজস্বভাবে সরকারকে জ্বালানির মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা দিতে ২৮ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বিইআরসি অধ্যাদেশ ২০২২-এর একটি সংশোধনী অনুমোদন করে।