বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আশ্বাস নবনিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ ও সহযোগিতা সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নবনিযুক্ত চীন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে তার দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষৎ শেষে সংবাদিকদের তিনি বলেন, "বাংলাদেশের ভিশন ২০২১ শেষ হয়েছে। এখন নতুন ভিশন হলো ২০৪১, যার লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দেশটির লক্ষ্য, 'সোনার বাংলা' গড়ে তোলা। বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে চীন দেশটির এসব লক্ষ্য অর্জনে পাশে থাকতে চায়।"
রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশের আইসিটি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে চীন বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
তিনি আরও জানান, আগামী মাসে ঢাকায় বাংলাদেশ বিজনেস সামিটেও বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্ত থাকবে চীন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, "চট্টগ্রামে কর্ণফুলী ট্যানেলসহ বেশ কিছু প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শেষ হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবন মানের উন্নয়নে চীনের অবদান রয়েছে। এখন বিনিয়োগের প্রয়োজন। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ, সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায়।"
তিনি জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের মুক্ত বাণিজ্যের (ফ্রি ট্রেড) আলোচনা চলছে। চীন এক্ষেত্রে প্রস্তত রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, মুক্ত বাণিজ্যের আলোচনা এ বছর আরও এগিয়ে যাবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গার কারণে বাংলাদেশ অনেক ভুগছে। এ কারণে বাংলাদেশের প্রতি চীনের সমবেদনা রয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে কাজ করছে চীন।
"এ বিষয়ে বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং আন্তর্জাতিক কমিউনিটির সঙ্গেও চীন কাজ করছে। আশা করছি, এ সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে। তবে এটি একটি জটিল বিষয়," যোগ করেন তিনি।
এই সময় পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অ-অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক আরও উন্নয়নে কাজ করবেন।
তিনি দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করতে প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী বলেন, "উভয় দেশই উন্নয়নের পথে। চীনের কাছে প্রযুক্তি রয়েছে এবং আমরা তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরো উন্নত করতে পারব।"