আ.লীগের শান্তি সমাবেশের মাঝেই ইউনিয়ন পর্যায়ে চলছে বিএনপির সরকার বিরোধী রোডমার্চ
বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিত্যপণ্যসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়া ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সারাদেশের সব ইউনিয়নে রোডমার্চ বের করে।
গণতন্ত্র মঞ্চ, গণতান্ত্রিক বম ঐক্য, ১২-দলীয় জোট, সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম, পিপলস পার্টিসহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল তাদের একযোগে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একই কর্মসূচি পালন করছে।
সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে রোডমার্চ কর্মসূচি সফল করতে জেলা পর্যায়ের স্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
মুন্সীগঞ্জে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচসার ইউনিয়নের মুক্তারপুর পুরাতন ফেরি ঘাট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের পদযাত্রা মুক্তারপুর ব্রিজের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) আব্দুস সালাম আজাদের নেতৃত্বে আরেকটি রোডমার্চ বের হয় লৌহজং উপজেলার গাওদিয়া বাজার থেকে।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে আলাপকালে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, "আমরা জেলার ১৩টি উপজেলার মোট ১০৯টি ইউনিয়নে রোডমার্চের আয়োজন করেছি। অধিকাংশ মিছিল সকাল ১০টার দিকে শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে বিক্ষোভ।"
সাতক্ষীরায় মোট ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদে বিক্ষোভ মিছিল করছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। যোগাযোগ করা হলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল আলীম বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বাধা সত্ত্বেও মিছিল সফল করা হবে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে, বিএনপির সরকারবিরোধী রোডমার্চ মোকাবেলার আপাত প্রচেষ্টায় ইউনিয়ন পর্যায়ে 'শান্তি সমাবেশ' করছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দল কর্তৃক পাল্টাপাল্টি এই কর্মসূচি আগে শুধু রাজধানীতে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন তা সম্প্রসারিত হয়েছে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে।
শান্তি সমাবেশ কর্মসূচির ওপর জোর দিচ্ছে আওয়ামী লীগ; ৪০টি জেলার ইউনিয়নে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে অন্তত একটি সমাবেশে যোগ দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।