রাজউকের কোটিপতি কর্মচারীদের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) 'কোটিপতি কর্মচারীদের' অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাজউককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্র্ট।
তদন্ত সম্পন্ন করে আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ স্বত প্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। দুর্নীতিতে জড়িত বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান, রাজউক চেয়ারম্যান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবসহ বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিল শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এর আগে মঙ্গলবার 'রাজউক চেরাগে বাড়ি গাড়ি প্লট দোকান' শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কেউ উচ্চমান সহকারী, কেউ নিম্নমান সহকারী, কেউবা বেঞ্চ সহকারী; তবে এক জায়গায় নিখুঁত মিল! সবাই কোটিপতি। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) তৃতীয় কিংবা চতুর্থ শ্রেণির ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী হলেও অনেকের রাজধানীতে রয়েছে এক বা একাধিক বহুতল বাড়ি, আধুনিক গাড়ি। অনেকের আছে প্লট, ফ্ল্যাট এবং দোকানপাট।