মানবতাবিরোধী অপরাধ: ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় মোট আসামি আটজন, যাদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে মারা যান তিনজন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আব্দুল হান্নান, তার ছেলে মো. রফিক সাজ্জাদ (৬২) ও মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৩)। গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন- মো. হরমুজ আলী (৭৩), মো. আব্দুস সাত্তার (৬১) ও খন্দকার গোলাম রব্বানী (৬৩)। আর দুইজন আসামি পলাতক। তারা হলেন- ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ (৬৯) ও মো. ফখরুজ্জামান (৬১)।
এ মামলায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন ও ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম।
অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও মরদেহ গুমের অভিযোগে ২০১৬ সালের ১১ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা তাদের তদন্তকাজ সম্পন্ন করে।
২০১৫ সালের ১৯ মে ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা করেন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক পরে এজাহারটি গ্রহণ করে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।