আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি ‘অপ্রয়োজনীয় ও অসম’: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আদানি গ্রুপের সাথে সরকারের বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তির সমালোচনা করে বলেছেন, জনগণের কাছে সরকারের কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় এই চুক্তি করা সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে যুবদলের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটিকে নিয়ে রাজধাণীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, এই যে বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটা চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তি নিয়ে আজ দেশি-বিদেশি সব বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একটি অপ্রয়োজনীয় ও অসম চুক্তি। যেখানে বাংলাদেশ শুধু পয়সা দিয়ে যাবে। কোনো লাভ পাবে না।
'সরকার এ ধরনের চুক্তি মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ লুটপাট করে যাচ্ছে। মোটকথা, এ সরকার যেহেতু জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাই তারা লাগামহীন দুর্নীতি করে যাচ্ছে'।
মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও আদানি গ্রুপকে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে বছরে প্রায় সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে বাংলাদেশকে। আগামী ২৫ বছরে দিতে হবে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার। দেশের পাইকারি বিদ্যুতের বাজার মূল্যের পাঁচ গুণেরও বেশি দামে আদানির বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ। শেয়ার কারসাজির সাথে সাথে আদানি গ্রুপ কয়লার দামেও কারসাজি শুরু করেছে বলে জানা যায়।'
"জাহাজ ভাড়াসহ গোড্ডায় ব্যবহৃত কয়লার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ২০০ ডলার হলেও, তারা টন প্রতি ২০০ ডলার বাড়িয়ে বাংলাদেশের কাছে প্রতি টন ৪০০ ডলারে বিক্রির জন্য চিঠি দিয়েছে। আদানির সাথে করা এই চুক্তিকে 'অদ্ভুত' আখ্যায়িত করে নতুন করে আবার আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান"।
তিনি বলেন, 'আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, বিদ্যুৎখাতে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গত ১০ বছরে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা দলীয় ব্যবসায়ীদের পাইয়ে দিয়েছে সরকার। 'শেয়ার বিজে' প্রকাশিত তথ্যমতে, এই মুহূর্তে থেকে যদি আর কোনো নতুন চুক্তি নাও করা হয়, তবুও কুইক রেন্টাল চলবে ২০২৬ পর্যন্ত এবং ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে ২০৫১ পর্যন্ত'।
এসময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে ফেরার বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হলে, তিনি বলেন, আমরা পরিপূর্ণভাবে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।