ভবনের বেজমেন্টে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে: র্যাব
বেজমেন্টে জমে থাকা গ্যাস থেকে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) গুলিস্তানের ভবনটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে র্যাব। গতকাল ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে ১৮ জন নিহত ও কমপক্ষে ১২০ জন আহত হয়েছেন।
এলিট ফোর্স র্যাবের বোমা-নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের মেজর মশিউর বুধবার (৮ মার্চ) দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "প্রাথমিক তদন্তের পর আমরা জানতে পেরেছি ভবনের বেজমেন্টে বিস্ফোরণটি ঘটেছে।"
"এটি কোনো সাধারণ বিস্ফোরণ নয়। ভবনের পয়ঃনিষ্কাশন বা তিতাসের সরবরাহ লাইনে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ এই ঘটিয়ে থাকতে পারে। কোনো এসি ইউনিট থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটেনি বলেই আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি," যোগ করেন তিনি।
উদ্ধার অভিযানের ধীরগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমরা বর্তমানে ভবনের ভেতরের ধ্বংসাবশেষসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ধীরে ধীরে বের করে আনছি। পিলারগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কাজে বেগ পেতে হচ্ছে।"
"এছাড়া, ঘটনার সঠিক কারণ জানতে আমরা ঘটনাস্থলের কাছাকাছি একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধারের চেষ্টা করছি," যোগ করেন র্যাব কর্মকর্তা।
তবে তিতাস গ্যাসের পরিচালক (অপারেশন) মোঃ সেলিম মিয়া ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, "সাপ্লাই লাইনে গ্যাস লিক হওয়ার কোনো আলামত আমরা পাইনি।"
"যদি এমন হতো, তাহলে ভবনে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতো," বলেন তিনি।
এদিকে, ভবনটির বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক (জোন-৫) হাফিজুল ইসলাম বলেন, "আমরা ভবনের কাগজপত্র খুঁজছি।"
"ফাইল পেলে বলতে পারবো ভবনটি বৈধ কিনা," যোগ করেন রাজউক পরিচালক।
এর আগে, রোববার (৫ মার্চ) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণে তিনজন নিহত ও কয়েক ডজন লোক আহত হন।
জমে থাকা মিথেন গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণটি ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে সিটিটিসির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট। আগে সন্দেহ করা হয়েছিল, এসি বা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনার একদিন আগে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি অক্সিজেন প্লান্টে আরেকটি মর্মান্তিক বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয়জনের প্রাণহানি হয়।