এদেশের অর্থনীতি প্রাণবন্ত: রিচার্ড কোয়েস্ট
বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩-এর এক ফাঁকে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক ইনাম আহমেদের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে অংশ নেন সিএনএন-এর সাংবাদিক রিচার্ড কোয়েস্ট। টিবিএসের পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটির একটি সম্পাদিত সংস্করণ তুলে ধরা হলো।
ইনাম আহমেদ: শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি ঢাকায় এসেছেন। কেন মনে হয়েছিল যে এখানে আসা উচিত?
রিচার্ড কোয়েস্ট: বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে আমন্ত্রণ জানানো হয় আমাকে। ভাবলাম, আমি তো কখনোই এই দেশে আসিনি।
আর এখানকার অর্থনীতি এখন বেশ প্রাণবন্ত (ভাইব্রেন্ট)। বিশাল এক জনসংখ্যা নিয়ে অপেক্ষাকৃত ছোট ভৌগোলিক আয়তনের দেশ এটি। এগুলো গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়েও অসম প্রভাব ফেলে। আমি সবসময় মনে করি কোনোকিছু জানতে সবসময় নিজে গিয়ে দেখা উচিত।
তাই আমি এ দেশে এসেছি। আজকের শীর্ষ সম্মেলনে আসতে পেরে আমি বেশ সন্তুষ্ট।
আজ যেভাবে সবকিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাতেও আমি আগ্রহী; কোনোকিছুই অফ লিমিট ছিল না। আমার মতে, এদেশের যে ক্ষমতা রয়েছে তারই প্রতিফলন এগুলো।
আমি আপনার একটি শো দেখছিলাম যেখানে আপনি বলেছিলেন, "মানুষের স্বপ্ন তার উচ্চাকাঙ্ক্ষার চেয়ে বড় হওয়া উচিত।" আমি যদি আপনাকে বলি বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে, তাহলে সে স্বপ্ন কী হবে?
এটা সত্যিই কঠিন একটা প্রশ্ন। কেন, তা বলছি।
আমি মানুষকে ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশসহ অন্যান্য বিষয়ে কথা বলতে শুনি।
কিন্তু তারপরও এ বিষয়গুলোকে একটি নির্দিষ্ট ফিজিক্যাল রিয়েলিটির সাথে তুলনা করে চিন্তা করতে হবে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই বাস্তবতা হলো দারিদ্র্য। আগের চেয়ে দারিদ্র্য কমলেও, তা এখনও আছে।
আপনি যদি বিমানবন্দর থেকে এই সামিটে আসেন, তাহলে রাস্তায় শুধু বিল্ডিং, মহাসড়ক, যানজট—এসবই দেখবেন। এসব নিয়ে কথা বলা ঠিক আছে, এসব নিয়ে কথা বলার যুক্তিও আমি বুঝি—ক্রমশ বাড়তে থাকা জোয়ারে সব নৌকাই উপরে উঠে যায়। আমি এটাও বুঝি যে এই পরিবর্তন রাতারাতি ঘটেনি।
কিন্তু আমি মনে করি, ভবিষ্যতের কথা বা ডিজিটাল, স্মার্ট অর্থনীতির সাথে বাস্তবতার একটা ভারসাম্য বজায় রেখে কথা বলতে হবে। আর বাস্তবতা হলো, এখনও মৌলিক অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে যেগুলোর সমাধান প্রয়োজন।
আপনার কি মনে হয় শুধু অবকাঠামোর দিকটা নিয়ে আমাদের কাজ করা উচিত?
একটা দেশে গিয়ে সেই দেশ নিয়েই সমালোচনা করা আমার কাছে সবসময় বিপজ্জনক লেগেছে। আমার মতে, বাংলাদেশ জানে তার সমস্যাগুলো কোথায়।
অবশ্যই অবকাঠামোগত ও বিনিয়োগের দিকটায় কিছু সমস্যা আছে। তাছাড়া, বাংলাদেশ কীভাবে এই অর্থনীতির বিকাশ ঘটাবে যাতে এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়, সেদিকটাও দেখতে হবে।
পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে যারা বর্তমানে ডিজিটাল অর্থনীতিতে আচ্ছন্ন। কিন্তু ডিজিটাল অর্থনীতির পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়গুলোতে ফোকাস করতে হবে তাদেরকে। যেমন: লিঙ্গ সমতা এবং অধিকার, এলজিবিটি ইস্যু। তাছাড়া, শিক্ষা, যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা, সোশ্যালাইজড হেলথকেয়ার—এসবও তাদের এজেন্ডায় রাখতে হবে।
আপনি এই স্মার্টফোন নিয়ে আচ্ছন্ন হতে পারেন না। আপনি এটা ভাবতে পারেন না যে এটাই সব।
আমি আফ্রিকার কিছু অংশে দেখেছি, স্মার্টফোন যে মানুষকে একসাথে এনেছে, এ বিষয়টি নিয়ে অনেকেই প্রশংসা করেন।
সেটাও ঠিক আছে। কিন্তু আপনার যদি খাওয়ার মতো খাবার না থাকে, পান করার মতো বিশুদ্ধ পানি না থাকে, একটা যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা না থাকে, তাহলে সত্যি বলতে তখন এই স্মার্টফোনের এত গুরুত্ব থাকবে না।
ধরুন, আপনাকে ১০০ মিলিয়ন ডলারের একটি চেক দিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে বলা হলো। আপনি কী করবেন?
আমার মতে, কেউ যদি বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করতে চায় তাহলে তাকে ভিন্ন ভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে হবে; এরমধ্যে আরো উন্নতমানের টেক্সটাইল উৎপাদনও অন্তর্ভুক্ত। আমি ম্যাস গার্মেন্টের কথা বলছি না, আরএমজি দুর্দান্ত করছে। কিন্তু এই একটা খাতই সব নয়।
এই মুহূর্তে সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি এবং টেক্সটাইল রয়েছে চীনে।
অর্থাৎ, আপনি আসলে টেক্সটাইল নিয়ে কথা বলছেন...
আমি যদি টেক্সটাইলে বিনিয়োগ করি তাহলে নতুন প্রযুক্তিতে করব। এরপরে আসে আইটি।
তাছাড়া, বাংলাদেশের বেশকিছু ইম্প্রেসিভ দিক আছে। উদাহরণ হিসেবে আমার ফোনের কথাই বলা যায়। এখানে আসার পর থেকে আমি ভালোই সিগনাল পাচ্ছি। আপলিংক মেগাবাইটে স্পিড টেস্ট করলেও আমি ভালোই ফলাফল পাব।
এখানে আধুনিক অবকাঠামো ঠিকঠাকভাবেই স্থাপন করা হচ্ছে। এয়ারপোর্ট, স্কাইওয়ে, মেট্রো—এসবে একটি নতুন টার্মিনাল যোগ করাও আধুনিক অবকাঠামোর অংশ।
কিন্তু এসব কাজ বেশ সময়সাপেক্ষ।
এবার কিছুটা স্মৃতিচারণ করা যাক। আপনি অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, বড় কর্পোরেট ব্যক্তিত্বদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। আপনার কাভার করা সবচেয়ে স্মরণীয় ইন্টারভিউ বা স্টোরি কী ছিল?
সবচেয়ে স্মরণীয় হলো সেই ব্যক্তিরা যাদের আপনাকে আসলেই কিছু বলার আছে।
এরমধ্যে আছেন দালাই লামা, অবশ্যই। স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন, সৎ একজন মানুষ, সবসময়ই কথা বলার জন্য খুব ভালো এক ব্যক্তিত্ব।
আমি বলছি না অন্যরা অসৎ। কিন্তু সেরা সাক্ষাৎকার সেটাই হয় যেখানে ওই বক্তা আপনাকে সৎভাবে সবকিছু বলেন।
কয়েক বছর আগে আমি প্যাট্রিক সোয়েজের সাক্ষাৎকার নিই। 'ডার্টি ড্যান্সিং' মুভিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
আমি একবার হিউ হেফনারের সাক্ষাৎকারও নিয়েছিলাম। তাকে যখন জিজ্ঞেস করি, একজন সুন্দর নারী হতে কী দরকার, তিনি সত্যিই অনেক ভেবেচিন্তে উত্তর দেন।
সেরা ইন্টারভিউ সেগুলোই, যেখানে বক্তারা চিন্তা করে কথা বলেন।
তারা কী করতে চান এবং কেনই বা করতে চান, সেটা তারা জানেন।
আপনি লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। আমিও একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। আইনকে পেশা হিসেবে বেছে নিলেন না কেন?
আমি ইউনিভার্সিটি হসপিটাল রেডিওতে কাজ করেছি। ব্রিটেনে আছে এটি।
একটি ছোট স্টেশন যা শুধু হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবকদের খবরাখবর সম্প্রচার করে।
আমি বিবিসি লোকাল রেডিওতে কাজ করেছি। আমি টেনেসির ন্যাশভিলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি যেখানে সব আলমা ম্যাটারে স্কলারশিপ ছিল, এক্সচেঞ্জ ছিল।
নিজেকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম, আমার বয়স যখন ৪০ হবে তখন আমি কী চাইব, এবং কী নিয়ে অনুশোচনা করব।
আর আমি জানতাম যে ৪০ বছর বয়সে এসে আমি আইনজীবী বা ব্যারিস্টার না হতে পেরে হয়তো কষ্ট পাব। কিন্তু আমি আসলেই একজন সাংবাদিক হওয়ার চেষ্টা করতে চেয়েছিলাম।
আমার প্রয়াত বাবার কথা মনে আছে। তিনি বলেছিলেন, "রিচার্ড, সাংবাদিক হওয়ার সমস্যা হলো, তুমি ডিনার পার্টিতে বলার মতো সেরা কিছু গল্প পাবে, কিন্তু বাইরে পার্ক করা সবচেয়ে ছোট গাড়িটা হবে তোমারই।"
তিনি এ বিষয়ে পুরোপুরি সঠিক ছিলেন না। কিন্তু আমি জানি তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন। তিনি চেয়েছিলেন আমি আইনের পড়াশোনাটা নিয়ে প্রথমে আগাই।
আমিও মনে করি সাংবাদিকতার জন্য আইন সত্যিই একটি ভাল ডিগ্রি। কেন? ক্রিটিকাল থিংকিংয়ের কারণে।
আপনি জানেন প্রতিটি বিষয়ের দুটি দিক রয়েছে।
আপনি আইনের পড়াশোনা করলে এটাও জানবেন যে সবারই ডিফেন্স রয়েছে। সেটি খুব ভালো না-ও হতে পারে।
এখানে প্রধানমন্ত্রীর কথাই ধরা যাক।
আপনি যদি আমাকে বলেন, সরকারগুলো আরও স্বৈরাচারী হয়ে উঠছে, দেশে গণতন্ত্রের অভাব রয়েছে, সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে—ইত্যাদি। বা ১৪ বছর পরও এই সরকার কতটা স্বৈরাচারী—এসব।
আমি যদি প্রধানমন্ত্রীকে কাল এসব নিয়ে প্রশ্ন করি তাহলে আমি নিশ্চিত যে তিনি আমাকে এর পেছনেও কারণ দেখাতে পারবেন।
একটা বিষয়ের সবসময় দুই পক্ষ থাকে—এটা সত্য। কিন্তু একজন সাংবাদিক হিসেবে আপনাকে এবং আমাকে সবকিছু জানাতে হবে যাতে আমরা দুই পক্ষকেই চ্যালেঞ্জ করতে পারি।
আপনি অনেক কর্পোরেট প্রধানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। কাউকে ভালো ব্যবসায়ী নেতা করে তোলার পেছনে কীসের অবদান থাকে? ব্যবসা সফল বা ব্যর্থ কেন হয়?
এক্ষেত্রে সৌভাগ্য অনেক কাজে দেয়। আপনাকে সঠিক সময়ে সিইও হতে হবে।
আমার মনে হয়, আপনার ভিশনও এক্ষেত্রে কার্যকর।
কিন্তু কাজ করার ক্ষমতা ছাড়া ভিশন নিছক অকার্যকর। আমি সবচেয়ে সেরা যেসব ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছি, তাদের একজন হলেন গর্ডন বেথুন। আমেরিকার কন্টিনেন্টাল এয়ারলাইন্স যখন দেউলিয়া হয়ে যায় তখন এর সিইও ছিলেন তিনি। তাদেরকে সবচেয়ে বাজে অবস্থান থেকে সর্বপ্রথম অবস্থানে নিয়ে আসেন তিনি।
তার একটি ভিশন ছিল।
আপনার এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে হবে যা বাস্তবসম্মত। মানুষ যাতে সেই ভিশন নিয়ে কাজ করে সেটিও আপনাকেই দেখতে হবে।
এবার বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে কথা বলা যাক। একদিকে কোভিড, আরেকদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধ। এখন আবার চলছে চীন ও তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনা। এ বছরের শেষে বিশ্ব অর্থনীতিকে আপনি কী অবস্থানে দেখছেন?
আমার মতে এটি সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সময়।
এটা আমার একার কথা না। আমি যেসব শীর্ষ অর্থনীতিবিদদের সাথে কথা বলেছি, তাদের ভাষ্য।
তারা সবাই একই কথা বলেন। এটি আমাদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে কঠিন সময়; এর কারণ হলো সমস্যাগুলোর জটিলতা।
আপনার কি মনে হয় যুদ্ধ শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে?
না।
এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ ওয়েজ ইনফ্লেশন আছে। আমাদের বেকারত্ব কম।
কিন্তু আমাদের ৪২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার বৃদ্ধিসহ আরো অনেক সমস্যা আছে। এসব তারা কীভাবে সামলাবে?
তারা বারবার সুদের হার বাড়াবে।
মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে?
আমরা ভেবেছিলাম টার্মিনাল রেট ৫ হতে পারে, কিন্তু আমি মনে করি টার্মিনাল রেট ৬.৫ শতাংশ হতে পারে।
কিন্তু এত কঠোর মনেটারি সিস্টেমেও অর্থনীতি কীভাবে মন্দার মধ্যে যাবে না?
ফেড বলছে, সিস্টেম এত বেশি কঠোর করার পর আমাদের মুদ্রাস্ফীতি ধীরগতির হওয়া উচিত।
আমরা দেখেছি মূল্যস্ফীতি ৮-৯ শতাংশ থেকে নেমে ৫-৬ শতাংশে এসেছে। কিন্তু একে কি বারবার ২ শতাংশের দিকে ঠেলে দেবেন?
অর্থনীতিতে এটাই এখন বড়া বিতর্ক।
একবার মূল্যস্ফীতি ৪ শতাংশে নামিয়ে আনলে, আপনি কি তা ২ শতাংশে নামিয়ে আনার চেষ্টা করবেন? নাকি বলবেন যে ৪ শতাংশই ঠিক আছে? এর উত্তর আমরা জানি না।
ফেডের সুদহার বৃদ্ধি সত্যিই উদীয়মান অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলছে।
সম্পূর্ণরূপে, একেবারেই ধ্বংসাত্মক। যে দেশগুলো ডলারে ঋণ নেয় তাদের জন্য এটা ধ্বংসাত্মক।
এটি ধ্বংসাত্মক, কারণ এটি বিনিয়োগের আয়ে এমন একটি প্রভাব তৈরি করে যাতে অন্য কোনো প্রান্ত উপকৃত হয়। তাছাড়া বন্ড মার্কেটকেও প্রভাবিত করে এটি। এটা ভয়াবহ।
কিন্তু ফেড বলবে, যদি তারা মার্কিন অর্থনীতির দেখভাল না করে, তাহলে উদীয়মান বাজারগুলোর আরও খারাপ পরিস্থিতি হবে।
উদীয়মান বাজারকে সাহায্য করার কাজ ফেডের না।
২০২৪-কে কিভাবে দেখছেন?
আমরা ২০২৩-এর অর্ধেকেও আসিনি। ২০২৪ আসলে পুনরুদ্ধারের বছর।
যদি এখনকার রেট যেমন আছে, সেভাবেই চলতে থাকে তাহলে আমি বলব সামনে আপনি আশার আলো দেখবেন। কিন্তু আমি সুদের হার কমানোর কথা বলছি না।
সেটা হয়তো ২০২৪ সালে ঘটবে।
কিন্তু এই বছর ও আগামী বছরের মধ্যে একটি বেস বিল্ডিং দেখতে পাবেন।
ব্যবসার ধরন পরিবর্তিত হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো নতুন জিনিস আসছে। ব্যবসার ভবিষ্যৎ কীরকম দেখছেন?
আমি মনে করি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব একইসাথে অসাধারণ এবং ভয়ংকর।
এই মহামারির আগে আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হয়েছিল। তখন বড় ভয় ছিল আমাদের চাকরি হারানোর।
এই যেমন অটোনোমাস ট্রাক আসছে, চ্যাটজিপিটি এসেছে।
এটি বেশকিছু অর্থনীতির জন্যই উদ্বেগের বিষয়। এসব চাকরি হারালে এই লোকগুলো কোথায় যাবে?
আমরা এত দ্রুত রিস্কিল করতে পারি না। আবার তাদেরকে রিস্কিল করার জন্য প্রয়োজনীয় চাকরিও নেই। আর এ ধরনের যেসব চাকরি আছে, সেগুলোও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
আমি হতাশাবাদী হতে চাই না, কারণ এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগও। তবে নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি খুব কঠিন পরিস্থিতি।