ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা পেলে বাংলাদেশে ফিরে যাব: আরাভ
ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা দিলে বাংলাদেশে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন রবিউল ইসলাম আপন ওরফে আরাভ খান।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ফেসবুকে একটি লাইভ সম্প্রচারে কোনো হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
সম্প্রতি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান দুবাইয়ে আরাভ খানের সোনার দোকান উদ্বোধন করবেন এমন ঘোষণার পর ওই হত্যার সঙ্গে আরাভ খানের জড়িত থাকার সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়।
ভিডিওতে তিনি দাবি করেছেন, এসব প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে আনা হত্যা ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ সত্য নয়।
তবে তিনি উল্লেখ করেন, তার আপন বিল্ডার্স-এর বনানী অফিসে একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল, কিন্তু ঘটনার সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
আরাভ আরও দাবি করেছেন, 'বানোয়াট সংবাদটি' সরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে শীর্ষস্থানীয় একজন সংবাদকর্মী তার কাছে পাঁচ কোটি টাকা চেয়ে ব্ল্যাকমেইল করেছেন।
'তাকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর তিনি আমাকে হত্যা মামলার পলাতক আসামি হিসেবে বর্ণনা করে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন,' আরাভ বলেন।
এছাড়া দেশের উচ্চপদস্থ একজন পু্লিশ কর্মকর্তা তাকে 'পলায়নে' সাহায্য করেছেন, এমন অভিযোগও অস্বীকার করেছেন আরাভ খান।
২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি বাসায় খুন হন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান। পরদিন তার লাশ বস্তায় ভরে গাজীপুরের উলুখোলার একটি জঙ্গলে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
মামলাটি তদন্ত করে পরের বছরের এপ্রিলে অভিযোগপত্র দাখিল করে ডিবি। অভিযোগপত্রে পুলিশ উল্লেখ করে, রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চক্র ধনী ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করত। তাদের লক্ষ্য ছিল অশ্লীল ছবি তুলে ধনী ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজি করা।
২০১৯ সালের এপ্রিলে পুলিশ মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় রবিউলসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগপত্রে রবিউল ছাড়াও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়াকেও আসামি করা হয়। মামলায় মামুনের বন্ধু রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, দিদার পাঠান, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হোসেনসহ আরও দুই তরুণীকে আসামি করা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, রবিউল গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার আশুটিয়া গ্রামের মতিউর রহমান মোল্লা ও লাকী বেগমের ছেলে।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর মামুন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর রবিউল ইসলাম পরিচয় দিয়ে একজন ব্যক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। প্রায় ৯ মাস কারাভোগের পর ওই যুবক দাবি করেন, তিনি আসল রবিউল ইসলাম নন, তার প্রকৃত নাম আবু ইউসুফ। রবিউল ইসলামের কাছ থেকে মাসিক নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে আসামির পরিচয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
আদালত বিষয়টি তদন্ত করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিবিকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।