সীমা গ্রুপের পরিচালককে গ্রেপ্তার ও ‘লাঞ্ছনার’ প্রতিবাদে চট্টগ্রামে কারখানা বন্ধের ঘোষণা অক্সিজেন প্ল্যান্ট মালিকদের
সীমা গ্রুপের পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে গ্রেপ্তার ও 'লাঞ্ছনার' প্রতিবাদে কারখানা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রামের অক্সিজেন প্লান্ট মালিকরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিএ) সভাপতি মোহাম্মদ আবু তাহের।
তিনি বলেন, 'চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্প গ্রুপের পরিচলাক পারভেজ উদ্দিনের মত শীর্ষ ব্যবসায়ীকে কোমরে দড়ি দিয়ে লাঞ্ছিত করার মত ঘটনা দেশের ব্যবসায়ী সমাজের জন্য অপমানজনক। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী সমাজ ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল থেকে চট্টগ্রামের সকল অক্সিজেন প্লান্ট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ব্যবসায়িরা।'
এছাড়া এ ঘটনার জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও পারভেজ উদ্দিন সান্টুর মুক্তির দাবিতে শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স এসোসিয়েসন। একই সঙ্গে দাবি মেনে নেওয়া না হলে পরবর্তীতে সব শিপ ইয়ার্ড বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন বিএসবিএ সভাপতি।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল চারটায় বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
সভার বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের মাস্টার আবুল কাশেম বলেন, 'যে বা যারা এটি করেছেন তাদেরকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।'
উল্লেখ্য, ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডের কদমরসুল কেশবপুর গ্রামে অবস্থিত সীমা অক্সিজেন কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সাতজন নিহত এবং আরও অন্তত ২৫ জন আহত হন। এই দুর্ঘটনার পর নিহত এক ব্যক্তির স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে মালিকপক্ষের গাফিলতি, কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় সীমা গ্রুপের তিন মালিকসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিল্প পুলিশ চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় অভিযান চালিয়ে পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে গ্রেফতার করে। পরদিন বুধবার কোমরে দড়ি বেঁধে তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যকে শোকজসহ সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।