সীতাকুণ্ডের অক্সিজেন প্ল্যান্ট মালিকদের আন্দোলন প্রত্যাহার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সব অক্সিজেন কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা থেকে সরে এসেছে জাহাজভাঙা শিল্পমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ)।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন অক্সিজেন প্ল্যান্ট মালিকেরা।
বৈঠক শেষে সংগঠনের নেতারা বলেন, সীমা অক্সিজেন প্লান্টের পরিচালক পারভেজ উদ্দিনের কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে হাজির করার প্রতিবাদে সীতাকুণ্ডের সব অক্সিজেন কারখানা শুক্রবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার ডাক দিয়েছিলাম। পরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে আমরা আমাদের অনির্দিষ্টকালের আন্দোলন স্থগিত করেছি।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, প্ল্যান্ট বন্ধ রাখার ঘোষণার খবর শুনে সন্ধায় বৈঠক ডাকি। তারা সাড়া দিয়েছেন। ফলপ্রসূ একটি আলোচনা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের মালিকের কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত হিসেবে অভিহিত করেন।
শিল্প পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ঘটনাটি শোনার পর আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজড করি। তিনি কাজটি না বুঝে করেছেন।
বিএসবিআরএ-এর সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিংকু বলেন, সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট খুব শিগগিরই চালু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় সাতজন নিহত এবং অন্তত ২৫ জন আহত হন। দুর্ঘটনার পর নিহত এক ব্যক্তির স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে মালিকপক্ষের গাফিলতি, কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় সীমা গ্রুপের তিন মালিকসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিল্প পুলিশ চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় অভিযান চালিয়ে পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে গ্রেফতার করে। পরদিন বুধবার সান্টুকে কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে আদালতে নিয়ে যাওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ছড়িয়ে পড়ে।