চট্টগ্রামে ১৫০ শয্যার বার্ন ইউনিট, চীনের সঙ্গে চুক্তি
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে, চীন সরকারের অনুদান সহায়তায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলজে হাসপাতালে ১৫০ শয্যা বিশিষ্টি একটি বার্ন ইউনিট স্থাপনের বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি বাস্তবায়ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসনে হাওলাদার এবং চীন সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়নে বাস্তবায়ন চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
চীন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান দেং বোকিং, ঢাকাস্থ চীন দূতাবাসের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং চীনের একটি বিশেষজ্ঞ টিম চীন সরকারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাক্ষরিত বাস্তবায়ন চুক্তির আওতায় চীন সরকারের সম্পূর্ণ অনুদান সহায়তায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫০ শয্যা বিশিষ্টি একটি বার্ন ইউনিট স্থাপিত হবে। উক্ত ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ধরণের মেডিকেল যন্ত্রপাতি এবং আসবাবপত্র চীন সরকার অনুদান সহায়তা হিসাবে প্রদান করবে। নির্মিতব্য বার্ন ইউনিটে একটি বহিঃবিভাগ, একটি অন্তঃবিভাগ, একটি জরুরী বিভাগ, ১০টি আইসিইউ বেড, পুরুষদের জন্য ১০টি এইচডিইউ বেড, মহিলাদের জন্য ১০টি এইচডিইউ বেড এবং শিশুদের জন্য ৫টি এইচডিইউ বেড থাকবে। কাজটি সম্পন্ন করতে দুই বছরের মতো সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "ঢাকার মতোই চট্টগ্রামও আগুনজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনা নৈমিত্তিক ঘটে চলেছে। এজন্য চট্টগ্রামে ঢাকার মানের একটি বার্ন ইন্সটিটিউটের প্রয়োজন ছিল। ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটের ৫০০ বেডই প্রায় পূর্ণ থাকে। ঢাকায় এই একটি বার্ন ইন্সটিটিউটে যে চাপ পড়ছে, তা চট্টগ্রামে ১৫০ বেডের বার্ন ইউনিট চালু হলে কিছুটা কমে যাবে। এর পাশাপাশি শীঘ্রই আমরা আরো নতুন করে ৫ বিভাগে ৫টি বার্ন ইন্সটিটিউট নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি। এতে করে দেশে ৭টি উন্নতমানের বার্ন ইন্সটিটিউট হয়ে যাবে।"