সার আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য পোটন কালো তালিকাভুক্ত: কৃষিমন্ত্রী
সরকারের সার আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটনকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার সচিবালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী। কৃষি মন্ত্রণালয়ে সারবিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক সভা হয়। সভায় আসন্ন অর্থবছরে (২০২৩-২৪) সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়। পরে সাংবাদিকদের কাছে চাহিদার পরিমাণ তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী। সভায় আগামী অর্থবছরের জন্য ৬৮ লাখ টন সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'তাকে আমরা কালো তালিকাভুক্ত করেছি। তিনি আমাদের এখানে কোনো দরপত্রে অংশ নিতে পারবেন না এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।'
কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'উনি উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তিনি অনেক ক্ষতি করেছেন। আমরা সচেতন আছি। কোনভাবেই এটাকে সহজভাবে নিচ্ছি না।'
উল্লেখ্য, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বিসিআইসির তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কৃষিমন্ত্রী জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১ ধরনের ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টন সারের চাহিদার মধ্যে ২৭ লাখ টন ইউরিয়া, ডিএপি ১৬ লাখ টন, টিএসপি সাড়ে ৭ লাখ টন ও এমওপি ৯ লাখ টন সহ মোট ১১ ধরনের সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী জানান, সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী চলতি বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। আরও ১১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার অপেক্ষায় তবে মোট সংখ্যাটা বছর শেষে বলা যাবে। তবে আগামী অর্থবছরে সারের দাম বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই বলেও জানান তিনি।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সার নিয়ে কোনো সংকট সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না।