ওসমানী মেডিকেলের ১৬ ইন্টার্ন চিকিৎসকের করোনা শনাক্ত
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ চিকিৎসকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হওয়া সবাই মেডিকেল কলেজের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষাণবীশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসক।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে তাদের শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মইনুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডলও এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে সোমবার রাতে জানিয়েছেন।
তবে ওসমানী হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, সোমবার রাতে ১৬ শিক্ষাণবীশ চিকিৎসক শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসকদের ফেসবুক গ্রুপে এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়।
ওই গ্রুপে ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মইনুল হক লিখেন- '৫৩তম ব্যাচ, তোমাদের আবার পরীক্ষা করা হবে। ভয়ের কোনো কারণ নাই। ইনশাল্লাহ নেগেটিভ হবে। আমরা তোমাদের সঙ্গেই আছি- অধ্যক্ষ সিওমেক।'
এই গ্রুপে ওসমানী মেডিকেল কলেজের সাবেক এক শিক্ষার্থী, যিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন, তিনি সোমবার রাতে লিখেন- 'সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৫৩তম ব্যাচের (ইন্টার্ন চিকিৎসক) ১৬ জনের করোনা পজেটিভ আসছে আজকে। আশাকরি উর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিরা অতিদ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।'
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল এই হাসপাতালের এক শিক্ষাণবীশ চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। তিনি হাসপাতালের ইন্টার্ন হোস্টেলেই রয়েছেন। ওই চিকিৎসক শনাক্ত হওয়ার পর ওসমানীর ৭৮ জন শিক্ষানবীশ চিকিৎসককে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এই কোয়ারেন্টিনে থাকা ৭৮ জনের মধ্য থেকেই সোমবার ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
আর গত ৫ এপ্রিল ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তিনিই করোনা শনাক্ত হওয়া সিলেটের প্রথম রোগী। গত ১৫ এপ্রিল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।