গতিপথ বদলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’
ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' কোন দিকে ধেয়ে আসছে তা নিয়ে জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সোমবার (৮ মে) দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ধীরে ধীরে সাইক্লোনে পরিণত হচ্ছে এবং বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে এবং এরপরে শক্তি সঞ্চয় করে পরদিন ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (৮ মে) সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ আন্দামান সাগরের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী বলা হয়েছিল, ঝড়ের গতি বাড়তে থাকবে এবং মঙ্গলবার (৯ মে) নাগাদ নিম্নচাপে রূপ নিবে এবং বুধবারের মধ্যে (১০ মে) ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
আজ থেকে ৫০০ বছর আগে বিশ্বকে কফির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য বিখ্যাত, ইয়েমেনের বন্দর নগরীর নামানুসারে এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হবে 'মোখা'।
ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি সম্পর্কে অবহিত করে মহাপাত্র বলেন, "ঘূর্ণিঝড়টি প্রাথমিকভাবে আগামী ১১ মে পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিক বরাবর মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হবে। তারপরে পুনরায় বাঁক নিয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিক বরাবর বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে এগোবে।"
আবহাওয়া বিভাগ জাহাজ, ট্রলার, ছোট নৌকাগুলোকে এবং জেলেদের দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করেছে এবং এ অঞ্চলের লোকেদের উপকূলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগরের উপর দিয়ে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়াসহ ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে চলেছে।
মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে মঙ্গলবার আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারি বৃষ্টিপাত হবে।
আগামী শুক্রবার পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি এবং সেই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র এলাকায় পর্যটন, উপকূলীয় কার্যক্রম এবং শিপিং সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।