নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে করা আপিল নিয়ে মুখ খুললেন সোহাগ
অবশেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন আবু নাঈম সোহাগ। আর্থিক অনিয়মের দায়ে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদককে দুই বছরের জন্য সব ধরণের ফুটবলীয় কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ফিফা। এরপর বাফুফেও তাকে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
ফিফার দেওয়া শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করেন সোহাগ। কোর্ট অব আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টসে করা সেই আপিল নিয়ে কথা বলেছেন বাফুফের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক।
রাজধানী একটি হোটেলে বুধবার সোহাগের করা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার পক্ষের আইনজীবীরা। আইনজীবী দলের প্রধান আজমালুল হোসাইন কেসি আশাবাদী, অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাবেন সোহাগ।
সোহাগের দাবি, ফিফা ফান্ডের অর্থ চুরি বা অপব্যবহারের কারণে নয়, তাকে সর্বনিম্ন শাস্তি দেওয়া হয়েছে ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে ত্রুটি থাকার অভিযোগে।
তবে আইনগত বাধার কারণে অনেক কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই বলেও জানান তিনি, 'যেহেতু আমরা একটা আপিল প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে গেছি, কোর্ট অব আর্বিট্রেশনে আবেদন করেছি, সেখানে যাওয়া পর্যন্ত আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাইব। যেহেতু একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি, আমার লিগ্যাল কাউন্সিলদের দ্বারা যে পরামর্শ পেয়েছি, তাতে আমি আসলে খুব বেশি বলার মতো অবস্থায় নেই। কি বলতে কি বলব, কি বলে ফেলব, সেটা কিভাবে অনুদিত হবে। তখন ফিফা হয়ত আমাকে আবার বলবে-তুমি কেন কথা বললে? তুমি এগুলো নিয়ে কথা বলতে গিয়েছ কেন?'
ফিফার তদন্তে ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাফুফের ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ক্রয়সংক্রান্ত কমিটি গঠন করে বাফুফে। সোহাগের দাবি, এই কমিটি গঠনের আগ পর্যন্ত যে কোনো ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে ফিফাকে আগে থেকেই জানিয়ে এবং তাদের অনুমোদন নিয়েই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতেন তারা। এই যুক্তিতে নিজের দায় দেখছেন না তিনি, যদিও আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে নিজেকে সরাসরি নির্দোষ দাবিও করছেন না সোহাগ, 'আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাইব। এই যে একটা অভিযোগ দেশের জন্য, ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য। এটা যেন ওভারকাম করতে পারি। আপনাদের সকলের এবং দেশের সম্মান যেন বজায় রাখতে পারি। সত্য প্রকাশিত হবেই। আমি দোষী নাকি নির্দোষ-এই প্রশ্নের জবাবে সময়ই বলে দেবে।'
ফিফা দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলেও বাফুফে এরই মধ্যে সোহাগের জন্য দরজা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সোহাগ কথা বলতে রাজি হননি।