স্বল্প দূরত্বের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট নিষিদ্ধ করলো ফ্রান্স
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/05/24/crop.jpg)
ট্রেনে আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়, এমন স্বল্প দূরত্বের গন্তব্যের ক্ষেত্রে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ফ্রান্স। খবর সিএনএনের।
দুই বছর আগে পাস হওয়া একটি আইনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের পরিবহনমন্ত্রী ক্লেমেন্ট বিউন।
এক বিবৃতিতে ক্লেমন বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমানোর ক্ষেত্রে এটি একটি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ।
"আমরা আমাদের জীবন থেকে কার্বনের ব্যবহার কমাতে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাহলে কীভাবে আমরা বড় শহরগুলোর মধ্যে বিমান চলাচলের বৈধতা দিতে পারি যা ট্রেন সংযোগের মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে উপকৃত হবে", যোগ করেন তিনি।
তিনটি রুটে মূলত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে যা প্যারিস-অর্লি বিমানবন্দরকে বর্দো, ন্যান্টেস এবং লিয়ন শহরের সাথে সংযুক্ত করে। তবে কানেকটিং ফ্লাইটের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না।
অনেকেই এ ঘোষণার সমালোচনা করেছেন। তারা একে 'প্রতীকী নিষেধাজ্ঞা' হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।
এয়ার ফ্রান্সের পাইলট ইউনিয়নের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট গিলিয়াম স্মিড টুইট করে বলেন, "এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কাউকে বোকা বানানো যাবে না। যাত্রীরা এমনিতেই এসব রুটে ফ্লাইট নেওয়া থেকে বিরত থাকেন।"
অন্যদিকে দেশটির ক্লিনার ট্রান্সপোর্ট ক্যাম্পেইন গ্রুপ 'ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টে'র একজন বিমান পরিচালক জো ডারডেন বলেন, "ফ্রান্সের ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা একটি প্রতীকী পদক্ষেপ। এটি নির্গমন হ্রাসে খুব কমই প্রভাব ফেলবে।"
সংস্থাটির মতে, যে তিনটি রুটের বিমান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে, তাতে মেইনল্যান্ড ফ্রান্স থেকে আসা ফ্লাইটগুলোর মাধ্যমে মাত্র ০.৩% কার্বন নিঃসরণ হয়; আর সামগ্রিকভাবে দেশটির অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ৩% কার্বন নিঃসরিত হয়।
এ নিষেধাজ্ঞায় কার্বন নিঃসরণের ক্ষেত্রে তেমন একটা প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন এয়ারলাইন্স ফর ইউরোপের অন্তবর্তীকালীন প্রধান লরেন্ট ডনসিলও।
এর পরিবর্তে সরকারের 'বাস্তবভিত্তিক এবং উল্লেখযোগ্য সমাধান' গ্রহণ করা উচিত বলে তিনি মত দেন।