নিয়মের জালে ‘বন্দি’ বুন্দেসলিগা আজ মাঠে গড়াচ্ছে
করোনাভাইরাসের প্রকোপ থামেনি। এখনও লকডাউন অবস্থায় আছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ। পুরো পৃথিবীর মানুষই ঘরবন্দি অবস্থায়। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের দাপটে বন্ধ আছে বিশ্বের সব ধরনের খেলা। অবশেষে একটু একটু করে আশার আলো উঁকি দিতে শুরু করেছে। স্থবির অবস্থা ভেঙে সবার আগে মাঠে গড়াচ্ছে বুন্দেসলিগা।
আজ (শনিবার) থেকে শুরু হচ্ছে জার্মানি ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের লিগ বুন্দেসলিগা। লম্বা বিরতির বিরতির জার্মানিতে ফুটবল গড়াচ্ছে। সর্বশেষ ১১ মার্চ বুন্দেসলিগার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। অর্থাৎ, দুই মাস পর শুরু হতে যাচ্ছে বুন্দেসলিগা।
বিশ্বের শীর্ষ ৫ লিগের মধ্যে বুন্দেসলিগা আগে শুরু হচ্ছে। শুরুর দিনই মাঠে নামছে ১২টি দল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শ্যালকের মুখোমুখি হবে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ২৫ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ। সমান ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
ফুটবল মাঠে ফিরছে; এমন খবর অনেকের জন্য স্বস্তির হলেও মানতে হচ্ছে অতিরিক্ত সতর্কতা। অনেক নতুন নিয়মই আনা হয়েছে, যা ফুটবল মাঠে আগে কখনই দেখা যায়নি।
ফুটবল ফেরার স্বস্তির মাঝে সবচেয়ে বড় শূন্যতা দর্শকহীন গ্যালারি। সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গ্যালারি ফাঁকা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার ও ফুটবল কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবতই স্টেডিয়ামে দেখা যাবে না হুই-হুল্লোর, চিৎকার-চেচামেচি।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেধে দেওয়া হয়েছে নানা নিয়ম। সাংবাদিক, ফটোগ্রাফার, টিভি ক্রু, লিগ ও দুই ক্লাবের স্টাফ, বল বয়, সব মিলে ম্যাচ চলার সময় সর্বোচ্চ ৩০০ জন থাকতে পারবে স্টেডিয়ামে। পুরো স্টেডিয়ামকে তিন ভাগে ভাগ করা হবে। প্রতিটি ভাগে সর্বোচ্চ ১০০ জন করে থাকবে।
ক্লাবগুলোর স্টাফের সংখ্যাও কমিয়ে আনা হবে। প্রতিটি ক্লাব একজন করে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে। তার কাজ থাকবে স্বাস্থ্যবিধি তদারকি করা। ১৬ বছর বয়সী চার জন বল বয় থাকবে, যারা কিছুক্ষণ পরপর জীবাণুনাশক দিয়ে হাত পরিষ্কার করবে। সংবাদ সম্মেলন কক্ষ ও মিক্সড জোন বন্ধ রাখা হবে। অনলাইনে হবে সংবাদ সম্মেলন।
ল্যাটিন ফুবটবলেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের মতো করে মাঠে আর থুথু ফেলতে পারবেন না ফুটবলাররা। গোল দিয়ে ফুটবলে চুমুও দেওয়া যাবে না। মাঠে থুথু ফেলা ও ফুটবলে চুমু দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার এক বিবৃতিতে এমনই জানিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার শীর্ষ ফুটবল সংস্থা কনমেবল।
কনমেবলের বিবৃতিতে জানানো হয়, কোপা লিবের্তাদোরেস ও কোপা সুদামেরিকানার ক্লাবগুলোকে ইতোমধ্যে এসব নিয়মের ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে আছে লিবের্তাদোরেস ও কোপা সুদামেরিকানার খেলা। ল্যাটিন অঞ্চলের শীর্ষ এই দুই ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরুর ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।