অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমের ১০ বছরের কারাদণ্ড
অর্থপাচার আইনের মামলায় আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ আটজনকে কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন ঢাকার একটি আদালত। এদের মধ্যে জি কে শামীমের ১০ বছর ও তার সাত দেহরক্ষীর ৪ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ১৫ জুন আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২৫ জুন রায়ের দিন ধার্য করেন। তবে ওইদিন রায় পিছিয়ে ১৭ জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।
২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১) নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গুলশান থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড আবু সাঈদ ৮ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় মোট ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়।
এরপর একই বছরের ১০ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে।
২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।