ফিটনেস পরীক্ষায় মানদণ্ড পেরোতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ
এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের স্কোয়াডে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ থাকবেন কিনা, বাংলাদেশের ক্রিকেটে এটা বড় আলোচনা। যে আলোচনা শুরু হয়েছে বেশ আগে। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার অবশ্য এসবে কান না পেতে নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করে গেছেন। কিছুদিন আগে একা একা অনুশীলন শুরু করা মাহমুদউল্লাহ নিয়মিত নেটে ব্যাটিং করে এসেছেন, ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু আসল পরীক্ষায় মানদণ্ড পেরোতে পারেননি তিনি।
এশিয়া কাপের আগে বিশেষ ক্যাম্প আয়োজন করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ক্যাম্পে ৩২ জন ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে, আছেন মাহমুদউল্লাহও। প্রথম তিন দিন বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে ক্রিকেটারদের। বৃহস্পতিবার ছিল ইয়ো ইয়ো টেস্ট (ফিটনেস পরীক্ষা)। এই পরীক্ষায় স্কোরের মানদণ্ড ধরা হয়েছিল ১৮.৪, তা তুলতে পারেননি বা পেরোতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ।
ন্যূনতম স্কোর না তুলতে পারলেও মাহমুদউল্লাহ অবশ্য ফিটনেস পরীক্ষায় অকৃতকার্য হননি। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরে জাতীয় দলের ট্রেনার নিক লি'র নেওয়া ইয়ো ইয়ো টেস্টে ১৭.৬ স্কোর তুলেছেন তিনি। ৩৭ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহর স্কোর মানদণ্ডের নিচে হলেও এতে সমস্যা নেই, বয়স বিবেচনায় ফিটনেস পরীক্ষায় তিনি উতরে গেছেন।
ফিটনেস টেস্ট কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করা বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, ইয়ো ইয়ো টেস্টের স্কোর শুধু দেখার জন্য। না উতরাতে পারলেও তা প্রভাব ফেলবে না। ফলের ভিত্তিতে ক্রিকেটার ফিটনেস নিয়ে কাজ করা হবে। সূত্রের ভাষ্য, 'ইয়ো ইয়ো টেস্টে যারা ১৮.৪ এর মধ্যে আছে, তাদের নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এই মানদণ্ডকে আমরা ফিট হিসেবে বিবেচনা করি। এই টেস্টের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আমরা তাদের নিয়ে কাজ করব। আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ পেয়েছেন ১৭.৬, এটিও তার বয়স বিবেচনায় ঠিক আছে। কোনো ক্রিকেটারই ১৭-এর নিচে পাননি।'
আজ সকালে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরে ক্রিকেটারদের ইয়ো ইয়ো টেস্ট শুরু হয়। সকালে এক দল ক্রিকেটার পরীক্ষা দেন, পরে দুপুরে আরও কয়েকজন ক্রিকেটারের পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২১-২২ জন ক্রিকেটার ইয়ো ইয়ো টেস্ট দিয়েছেন। সর্বোচ্চ ১৯.৫ স্কোর তুলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তানজিম হাসান সাকিবের স্কোর ১৯.৩, মেহেদী হাসান মিরাজ তুলেছেন ১৯.২।