ডিবি পরিচয়ে যুবদল নেতাসহ ৩ জনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
রাজধানীর আদাবর এলাকা থেকে ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক শহিদুল ইসলামসহ ৩ জনকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা। অভিযোগকারী গোলাম মোস্তফা শহিদুল ইসলামের ভাই।
গোলাম মোস্তফা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড'কে বলেন, 'গত রাতে আমার ভাই শহিদুল ইসলাম ও সাভার পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সুরুজ্জামান রাজধানীর আদাবর এলাকায় আমিনবাজারের কাউন্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলামের বাসায় যান। সেখান থেকে রাতে সাদা পোশাকের লোকজন নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার ভাই সহ সুরুজ্জামান ও মোমিনুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের সাভার ডিবি কার্যালয়ে নিয়া যাওয়া হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। আমি শতভাগ নিশ্চিত তারা এই মুহুর্তে সাভার ডিবি কার্যালয়েই আছে।'
'এছাড়াও গত পহেলা আগস্ট রাতে আমার ভাইকে (শহিদুল ইসলাম) না পেয়ে তার গাড়িচালক সুজন মিয়াকে কলমা এলাকার নিজ বাসা থেকে আটক করেছে ডিবি। পরে ৪ তারিখ পর্যন্ত তাকে নিজেদের হেফজতে রেখে ৪ আগস্ট রাতে তাকে আশুলিয়া থানায় পাঠানো হয়। তার নামে কোন মামলা নেই। আজ (রবিবার) আবার তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে সকালে', তিনি যোগ করেন।
সুজন মিয়াকে আটকে রাখার এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ঢাকা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি উত্তর) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব।
টিবিএসকে এই কর্মকর্তা বলেন, এমন কাউকে আটক বা গ্রেফতারের কোন খবর আমাদের কাছে নেই।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির এক কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড'কে বলেন, গত ২৯ জুলাই থেকে ঢাকা জেলা পুলিশ ও ডিবির যৌথ অভিযান চলছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ হিল কাফি। এমন কেউ আটক হয়ে থাকলে তিনিই বলতে পারবেন।
তবে এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফি-এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।