সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় ২০০৮ সালের পর চালের দাম সর্বোচ্চ
বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক ভারত সম্প্রতি শস্যটি রপ্তানিতে কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছে। পাশাপাশি আরেক বড় উৎপাদক থাইল্যান্ডে শুস্ক আবহাওয়ার কারণে, সেখান থেকেও বিশ্ববাজারে সরবরাহে ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে এশিয়ার বাজারে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে।
এশিয়ার চালের বাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দর নির্দেশক থাইল্যান্ডের ভাঙ্গানো সাদা চালের দর প্রতি টনে বেড়ে ৬৪৮ ডলারে পৌঁছেছে, ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসের পর যা সর্বোচ্চ।
বুধবার দর বাড়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে থাই রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। এনিয়ে গত এক বছরে প্রায় ৫০ শতাংশ দাম বাড়লো।
এশিয়া ও আফ্রিকার শত শত কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। তাই চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার অর্থ মূল্যস্ফীতির চাপও বাড়বে। এতে ক্রেতা দেশগুলোর আমদানি ব্যয় বাড়বে, আর শেষপর্যন্ত তার বোঝা চাপবে ভোক্তার ঘাড়ে।
জলবায়ুর কারণেই এশিয়ার চলতি বছর ধানের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। থাইল্যান্ড দ্বিতীয় বৃহৎ সরবরাহকারী। কিন্তু, এল নিনো জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে খরার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ এই অবস্থায়, পানির ব্যবহার কমাতে কৃষকদের অন্য ফসল চাষে উৎসাহিত করছে।
থাইল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলে ধানের আবাদ হয় বেশি। সেখানে এ বছর ৪০ শতাংশ কম হয়েছে বৃষ্টিপাত। এই অবস্থায়, কৃষি সেচে পানির ব্যবহার কমিয়ে, তা গৃহস্থালি প্রয়োজনের জন্য সংরক্ষণ করতে চায় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে থাই সরকার কৃষকদের চলতি বছর মাত্র এক মওসুম ধান আবাদের নির্দেশনা দিয়েছিল।