সাশ্রয়ী দামে ৪২২ উপজেলায় দৈনিক ২ মেট্রিক টন করে চাল বিক্রি করবে সরকার
খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় (ওএমএস) কার্যক্রমের আওতায় দেশের ৪২২ উপজেলায় প্রতিদিন দুই মেট্রিক টন চাল বিক্রি করবে সরকার।
চালের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে চাল সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ বিক্রি কার্যক্রম চালাবে সরকার।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ কার্যক্রমে জনপ্রতি সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি করা হবে।
এর আগে ৯০৮টি কেন্দ্রে ওএমএস কার্যক্রম চালু ছিল, যা আগের মতোই চলমান থাকবে। নতুন উদ্যোগের আওতায় জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
চাল আমদানি কম হওয়া এবং স্থানীয় উৎপাদন থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থতার কারণে এবার আমন মৌসুমে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সরকার এখন মজুত বাড়াতে আমদানির ওপর জোর দিচ্ছে।
সরকারি গুদামের মজুত কম থাকায় বাজারে চালের সরবরাহ কমে গেছে এবং দাম বেড়ে গেছে। সাধারণত আমন মৌসুমে চালের সরবরাহ ভালো থাকে এবং দামও কম থাকে। কিন্তু এ বছর পরিস্থিতি ভিন্ন।
৮ জানুয়ারির প্রকাশিত সরকারি এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত এক মাসে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। মোটা চাল, যেমন স্বর্ণা ও চায়না, প্রতি কেজিতে ৩–৪ টাকা বেড়ে এখন ৫৪–৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ডিসেম্বরের শেষে ছিল ৫০–৫৫ টাকা। মাঝারি এবং মিহি চালের দামও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, জানুয়ারিতে ১.৭৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করার পরিকল্পনা রয়েছে। আর অর্থবছরের (জুন, ২০২৫ পর্যন্ত) বাকি সময়ে মোট আট লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হবে।
খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই (২০২৪) থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওএমএসের মাধ্যমে চার লাখ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল তিন লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন।