'দ্য ক্রোকোডাইল' খ্যাত নানগাগওয়া আবারও জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট
আবারও জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন এমারসন নানগাগওয়া। ৫২.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন 'দ্য ক্রোকোডাইল' খ্যাত এই নেতা। খবর বিবিসির।
যদিও বিরোধী দলগুলোর দাবি, নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপির মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় বসছেন নানগাগওয়া। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও অনেকটা একইরকম মত প্রকাশ করে নির্বাচনের ফলাফলকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।
এদিকে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নেলসন চামিসা পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোট। দেশটির নির্বাচন কমিশন শনিবার নানগাগওয়াকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে।
জিম্বাবুয়েতে ২০১৭ সালে এক সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের পতনের পর ক্ষমতায় আসেন নানগাগওয়া।
কঠোরতার জন্য নিজ দেশে তিনি 'দ্য ক্রোকোডাইল' হিসেবে পরিচিত। প্রথমবার ক্ষমতায় আসার আগে তিনি অনেক প্রতিশ্রুতির কথা শোনালেও এখন পর্যন্ত উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং দরিদ্রতার মাঝে দিন কাটছে জিম্বাবুয়েনদের।
গতমাসে বিশ্বে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির রেকর্ড গড়েছিল জিম্বাবুয়ে; জুলাইয়ে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ১০১.৩ শতাংশে পৌঁছায়। এছাড়া, সেদেশে বেকারত্বের হারও অনেক বেশি। দেশটিতে আনুষ্ঠানিক চাকরি রয়েছে মাত্র ২৫ শতাংশ।
১৯৮০'র দশকে মুগাবের জানু পার্টি এবং জোশুয়া এনকোমোর জাপু পার্টির মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলাকালে জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন নানগাগওয়া। সেই সুবাদে দেশটির সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন (সিআইও) এর দায়িত্বেও তিনি ছিলেন। গৃহযুদ্ধকালীন জাপু পার্টিকে দমন করতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল সিআইও।
জানু-পিএফ গঠনের জন্য দুই দল এক হওয়ার আগে গুকুরাহুন্ডি অভিযানে হাজার হাজার বেসামরিক লোককে হত্যা করা হয়। বিশেষ করে যারা জাপু সমর্থ ছিলেন, তাদের মধ্যেই হতাহতের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। মূলত সে সময় থেকেই নানগাগওয়াওকে 'দ্য ক্রোকোডাইল' হিসেবে চেনে জিম্বাবুয়ের নাগরিক।
যদিও ওই হত্যাযজ্ঞে নানগাগওয়া তার কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি শান্তি আনতে সমঝোতার চেষ্টা করেছেন বলেও দাবি করেন।