মাগশট প্রকাশের পর ৭.১ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শিবির জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) জর্জিয়ার আটলান্টায় কারাগারে ট্রাম্পের মাগশট তোলার পর থেকে তারা ৭.১ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে। খবর বিবিসির।
ট্রাম্পের রাগী মুখচ্ছবি সংবলিত মগ, টি-শার্ট এবং ড্রিংক কুলার বিক্রি থেকেই বেশিরভাগ অর্থ এসেছে বলে জানিয়েছে তারা।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফলে হস্তক্ষেপের মামলায় গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প আটলান্টা কারাগারে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। এই মুহূর্তে ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন ট্রাম্প, তবে তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরও তিনটি অভিযোগ। এগুলোর মধ্যে দুটি হচ্ছে, নির্বাচনে কারচুপির মিথ্যা দাবি এবং আরেকটি হচ্ছে, ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গা সংক্রান্ত অভিযোগ।
ট্রাম্প অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, কারণ আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনিই রিপাবলিকানদের মধ্যে মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।
তবে জর্জিয়া এবং ক্যাপিটলে দাঙ্গার অভিযোগ মাথায় নিয়েও নির্বাচনী প্রচারণা বেশ জোরেশোরেই চালাচ্ছে ট্রাম্প শিবির। প্রায় তিন সপ্তাহের মধ্যে তিনি ২০ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন।
জর্জিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ট্রাম্প শিবির ৪.১৮ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করে। বলা হচ্ছে যে, নির্বাচনী প্রচারণায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটিই তাদের সংগ্রহ করা সবচেয়ে বেশি অঙ্কের তহবিল।
এছাড়াও, নিজেদের অনলাইন দোকান থেকে পণ্য বিক্রি এবং সমর্থকদের কাছে সাহায্যের জন্য বার্তা পাঠিয়েও অর্থ সংগ্রহ করেছে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির।
গত বৃহস্পতিবার জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ট্রাম্প নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (প্রাক্তন নাম টুইটার) নিজের ওয়েবসাইটের ঠিকানা এবং মাগশট পোস্ট করেন, সঙ্গে বড় হাতের অক্ষরে ক্যাপশনে লেখেন- "নির্বাচনে হস্তক্ষেপ। কখনোই আত্মসমর্পণ নয়!"
ওই একই দিনে ট্রাম্পকে জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টি কারাগারে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং তার মাগশট (মুখমন্ডলের ছবি) নেওয়া হয়। ২০০,০০০ ডলার মুচলেকা দিয়ে জামিনে মুক্তি পান তিনি।