'শিল্পকারখানার কর্মশক্তির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পারস্পরিক সহযোগিতা জরুরী’
দেশের তৈরি পোশাক খাতের কর্মশক্তির স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে টেকসই করতে বিভিন্ন সংস্থার পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশের পরিচালক তুমো পুতিয়েনাইন।
গত বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত 'ফস্টারিং দ্য হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস অব আওয়ার ওয়ার্কফোর্স' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ইন্টিগ্রাল গ্লোবাল, বিজিএমইএ ও জেসিএম ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আয়াত এডুকেশন এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, "কর্মীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় গুরুত্বারোপের পাশাপাশি উপযুক্ত ডাটাবেজ তৈরি করে তৈরি পোশাক খাতকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসা খুবই জরুরী।"
তুমো পুতিয়েনাইন বলেন, "পোশাক খাতের জনবলের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে আরও গণতান্ত্রিক করতে হবে এবং স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে যেসব বাধা আছে তা কমাতে হবে।"
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, "কর্মীদের সুস্থতা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে তৈরি পোশাক খাতের শিল্প-কলকারখানায় গত এক দশকে আমরা বড় পরিবর্তন এনেছি।"
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৩টি টেক্সটাইল ও ৬টি তৈরি পোশাক কারখানার প্রায় ৩০ হাজার কর্মীকে নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে আয়াত এডুকেশন ও ইন্টেগ্রাল গ্লোবাল।
আমান গ্রুপ অব কোম্পানিজের ভাইস চেয়ারম্যান তাহসিন আমান বলেন, "পোশাক খাতের কর্মীদের প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য শুধু বাইরের আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে না। আমাদের সবার পারস্পরিক সহযোগিতায় কর্মীদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে। আয়াত এডুকেশন বিজিএমইএ ও আরএমজি কর্মীদের জন্য ডিজিটাল টুলকিট প্রণয়নের কাজ করছে যেখানে তাদের স্বাস্থ্য, সুস্থতা ও প্রতিরক্ষামূলক সেবার তথ্য থাকবে।"