পক্ষপাতিত্ব নয়; বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতেই ভিসানীতি: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব নয়, বরং দেশটিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত এবং এর সমর্থনের উদ্দেশ্যেই মার্কিন ভিসানীতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, "যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি, আমরা শুক্রবার যে নতুন ভিসা বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছি– সেখানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।"
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা বিধিনিষেধের তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করেনি, কারণ এটি গোপনীয় তথ্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, "আমরা নির্দিষ্ট সদস্য বা নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করিনি, যাদের ওপর এটি প্রযোজ্য হবে। তবে এটি স্পষ্ট করা হয়েছে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও বিরোধী দলগুলোর সদস্যদের ওপর এটি কার্যকর হবে।"
বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ২৪ মে ভিসানীতি চালু করে। এর ৪ মাস পরে গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দেশটি ঘোষণা দিয়েছে, এটি 'গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী' ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এসব ব্যক্তিদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল, এবং বিরোধী দলগুলোর সদস্যরা রয়েছেন।
এমন ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বিবৃতিতে।
এছাড়া, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করায় জড়িত বা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদেরও ভবিষ্যতে এই নীতির আওতায় এনে, মার্কিন ভিসার জন্য তাদেরকে অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হতে পারে।
"এরমধ্যে বর্তমান এবং সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন," জানায় মার্কিন দপ্তর।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপগুলো একটি শান্তিপূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অব্যাহত অঙ্গীকারের প্রতিফলন।