গাবতলীতে সমাবেশ: ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ হয়েছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের যানজট
রাজধানীর গাবতলীতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত 'শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ'কে কেন্দ্র করে ঢাকার উপকন্ঠ সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানজটের তীব্রতা বেড়েছে।
এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কে চলাচলরত হাজারো মানুষ। বিকাল ৩টায় সমাবেশ শুরুর পর সময়ের সাথে সাথে এই যানজট দীর্ঘ হচ্ছে।
বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গাবতলী থেকে মহাসড়কের যানজট ঢাকামুখি লেনের বলিয়ারপুর এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ হয়েছে। তবে আরিচামুখি লেনে এখন পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
অন্যদিকে মহাসড়কের আমিনবাজার এলাকায় সড়ক উন্নয়ন কাজ চলমান থানায় আরিচামুখি লেনে গাবতলী থেকে আমিনবাজার সালেহপুর ব্রিজ পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘক্ষণ সড়কে জ্যামে আটকে থাকার পর ঢাকামুখি বহু যাত্রীকে পায়ে হেটে গন্তব্যে পৌছানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
যোগাযোগ করলে ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) হোসাইন শহিদ চৌধুরী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড'কে বলেন, ঢাকামুখি লেনের জ্যাম সালেহপুর ব্রিজ এলাকা ছাড়িয়ে গেছে, আমাদের লোকজন সড়কে কাজ করছে, গাবতলী থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হলে মহাসড়কেও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে। অপরদিকে আরিচামুখি লেনে কিছু গাড়ি উল্টোপথে প্রবেশ করায় কিছুটা জ্যাম হয়েছে, আমরা কাজ করছি, এই লেনটি (আরিচামুখি) কিছু সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
আমিনবাজার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড'কে জানান, দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক ছিলো। বেলা ৩টা থেকে ধীরে ধীরে মহাসড়কের ঢাকামুখি লেনে প্রথমে আমিনিবাজার ব্রিজ এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। সময়ের সাথে সাথে তা বাড়তে থাকে।
আমিনবাজার সালেহপুর ব্রিজ এলাকায় জ্যামে আটকে থাকা সুমন নামে এক গণপরিবহন চালক টিবিএস'কে বলেন, '২০ মিনিট ধরে সালেহপুর ব্রিজ এলাকায় জ্যামে বসে আছি, গাড়ি খুব ধীরগতিতে এগোচ্ছে'।
এসময় রাজিয়া সুলতানা নামে ঢাকামুখি একটি প্রাইভেট কারের যাত্রী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড'কে বলেন, 'যেই পথ ৫/১০ মিনিটে পার হওয়ার কথা, আধা ঘন্টা হয়ে গেলো তার ১০ শতাংশ রাস্তাও পার হতে পারিনি। যেই পরিস্থিতি গাবতলী পৌছাতে কয়েক ঘন্টা লাগবে বলে মনে হচ্ছে'।
এই যাত্রী আরো বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলোর উচিৎ সড়ক এড়িয়ে তাদের সভা-সমাবেশ আয়োজন করা, তাহলে আর আমাদের সাধারণ নাগরিকদের এই ভোগান্তিতে পড়তে হয়না।